Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত ডিজির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত ডিজি লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ নানা অনিময় ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি অবৈধভাবে নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের ৩টি পদে একাই দায়িত্ব পালন করছেন একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায়। ভারপ্রাপ্ত ডিজি লুৎফর রহমান নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের একজন পরিচালক, কিন্তু দায়িত্ব পালন করছেন পিডি, পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মহা পরিচালকের। যা মন্ত্রনালয়ের পরিপন্থি। সম্প্রতিক পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে তাকে জানিয়ে দিয়েছে নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের ডিজি থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। ভারপ্রাপ্ত ডিজি লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের গুলোর মধ্যে রয়েছে তিনি বিভিন্ন সময় দুর্নীতি, টেন্ডারবাজী, নারী কেলেংকারীসহ নানা ধরণের শতাধীক অভিযোগ। এই দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রনালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি ফরিদপুরে এসে তদন্ত করেন এবং নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের ৫০/৭০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ওই তদন্ত কমিটি লুৎফর রহমানের দুর্নীতি অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় মন্ত্রনালয় ২০১৬ সালে ১১ এপ্রিল সহকারী সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে লুৎফর রহমানকে এধরণের কর্মকান্ড না করার জন্য সর্তক করে দেন। তার পরও একটি প্রভাবশালী মহলকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত ডিজি হয়েই যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন তাদেরকে অবৈধ ও অন্যায় ভাবে বিভাগীয় মামলা দায়ের, অন্যত্র বদলী ও কিছু কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এই প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে মোঃ গিয়াসউদ্দিন নামে এক কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। যার নম্বর ১১/৮৯, তারিখ : ১৭/১০/২০১৭। নদী গবেষনা ইন্সটিটিউটের প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী এখন আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ ধরণের কর্মকান্ড না করার জন্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ থাকা সত্বেও একের পর এক কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপর ক্ষমতা অপব্যবহার করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। সাম্প্রতিক নদী গবেষণার এক কর্মকর্তার স্ত্রীকে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেন ভারপ্রাপ্ত ডিজি লুৎফর রহমান। ওই কর্মকর্তা তার স্ত্রীকে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিবকে লিখিত ভাবে জানান।
ওমর ফারুক নামে নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের এক কর্মচারী দীর্ঘ ৭ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ওমর ফারুকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে চাকুরীতে যোগদান করিয়ে ৭ বছরের প্রায় ১৪/১৫ লক্ষ টাকা সুবিধা প্রদান করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইতিপূর্বে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে একজন যুগ্ম সচিব জনাব ফেরদৌস আলমকে ফরিদপুর নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সুকৌশলে ভারপ্রাপ্ত মহা পরিচালক লুৎফর রহমান ওই যুগ্ম সচিবের বদলী বাতিল করিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী গবেষনা ইন্সটিটিউটের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহা পরিচালক হিসেবে থাকবেন একজন যুগ্ম সচিব। কিন্তু লুৎফর রহমান তিনি একজন পরিচালক হয়ে কিভাবে এই দায়িত্ব পালন করেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা আরো বলেন, লুৎফর রহমান ভারপ্রাপ্ত ডিজি হয়েই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতে জড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহা পরিচালক লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ