রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লা উত্তর থেকে মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন মোল্লা : বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) এবং কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) নির্বাচনী এলাকা। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বছরখানেক সময় বাকি থাকলেও ভোটের রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে কুমিল্লা-১ আসনের পাশপাশি কুমিল্লা ২ সংসদীয় আসন (হোমনা-তিতাস) থেকেও বিএনপি দলীয় প্রার্থী করার দাবি উঠেছে নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে। গত ২৩ অক্টোবর রাতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। ফলে কুমিল্লা-২ আসনে (হোমনা ও তিতাস) বিএনপি নেতৃত্ব ও অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে। এমকে আনোয়ারের জানাযায় লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে ড. মোশররফ হোসেনের বক্তব্যে শোকাহত নেতাকর্মীরা আশাম্বিত হয়, প্রান ফিরে পায়। তিনি তাঁর বক্তব্যে এমকে আানোয়ারকে গনতন্ত্রের মহানায়ক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তিনি ছিলেন এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তায় আকাশচুম্বি নেতা। তাঁকে হারিয়ে এ অঞ্চলের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ সমগ্র কুমিল্লার মানুষ শোকে মূহ্যমান। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের পাশের আসন দাউদকান্দি ও মেঘনার নেতৃত্ব দিচ্ছি। দলের সাংগঠনিক সমুদয় কাজে ডাকলে আমাকে পাশে পাবেন। আপনাদের যে কোন সমস্যায় আমি হাজির থাকব। আপনারা হতাশ হবেন না। ড. মোশাররফের মূল্যবান বক্তব্যের পর স্থানীয় নেতাকর্মীরা শোকের মাঝেও যেন একটু সুখ খুঁজে পেল, একজন মহান নেতাকে হারিয়ে আরেকজন মহান নেতাকে অভিভাবক হিসেবে পেল। নেতাকর্মীরা আশাবাদি আগামী নির্বাচনে ড. মোশাররফ এ আসন থেকেও বিএনপির প্রার্থী হয়ে দলের হাল ধরবেন এবং অভিভাবকের দায়িত্ব নেবেন। এরপর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ড. মোশাররফকে নিযে এলাকায় বেশ আলোচনা ও প্রচারনা শুরু হয়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ড. মোশাররফ হোসেন দাউদকান্দি সংসদীয় আসনের পাশাপাশি হোমনা আসন থেকে প্রার্থী হওযার জন্য জোর দাবি তুলেন নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ড. মোশাররফ সমগ্র কুমিল্লা বিএনপির অভিভাবক। বিশেষ করে তিনি দীর্ঘ আড়াই যুগ ধরে তিতাসের অভিভাবক হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিতাস উপজেলা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ড. মোশাররফ একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান এবং প্রভাবশালী জাদরেল নেতা। দেশ-বিদেশেও বিখ্যাত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। ড. মোশাররফ দাউদকান্দি, মেঘনা ও তিতাসের উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের একজন স্বাপ্নিক পুরুষ এবং অবহেলিত পশ্চাতপদ তিতাসের উন্নয়নে তিনিই প্রথম সূচনা করেন।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ¦ খোরশেদ আলম ইনকিলাবকে বলেছেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা উত্তরসহ সমগ্র কুমিল্লা বিএনপির আভিভাবক ও দলে সাংগঠনিকসহ সমুদয় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি এ অঞ্চলের বিএনপি’র অভিভাবক, নেতৃত্বদানকারী ও পথ নির্দেশক।
জেলা সেক্রেটারী মোঃ আক্তরুজ্জামান সরকার বলেন, হোমনা ও তিতাস বিএনপি’র অভিভাবক উন্নয়নের স্থপতি এমকে আনোয়ারকে হারিয়ে আমরা শোকে কাতর। আগামীতে আমরা কুমিল্লা-২ আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।
হোমনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম জহর বলেছেন, মরহুম এমকে আনোয়ার বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা এবং এলকায় ছিল তাঁর আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা। প্রার্থী হিসেবেও তিনি ছিলেন জাদরেল। তার মৃত্যুতে যেন সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে যেন-তেন প্রার্থী দিলে আসনটি হাতছাড়া হবে এতে কোন রকম সন্দেহ নেই। ড. খন্দকার মোশাররফকে যদি এ আসনে প্রার্থী করা যায় তবে আসনটি রক্ষা পাবে আমি অশাবাদি। অভিন্ন সুরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোমনা বিএনপির দু’জন দ্বিতীয় সারির নেতা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ। কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনের এখানকার ফলাফল দেখলেই বুঝা যায় আগামীতে নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। একমাত্র বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ড. খন্দকার মোশাররফই পারবে আসনটি ধরে রাখতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ সাদেক হোসেন বলেন, এই অঞ্চলকে দিন-রাত গ্রাম থেকে গ্রামান্তর ঘুরে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিল তিল করে বিএনপির ঘাটিতে পরিনত করেছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী হয়ে নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব দিলে এটা হবে আমাদের সুভাগ্যের ফসল।
জেলা বিএনপি’র সাবেক নেতা মফিজুর রহমান লিলু বলেন, ড. মোশাররফ হলেন অত্র অঞ্চলের উন্নয়ন-আধুনিকায়ন ও রাজনীতির এক ক্ষনজন্মা প্রান পুরুষ। দাউদকান্দি ও তিতাসের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের তিনিই প্রথম সূচনা করেন এবং এই অঞ্চলকে উন্নয়নসহ নানা দিক থেকে মহাসোপানে পরিনত করেছেন। তিতাস উপজেলা বিএনপি সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরকার বলেন, শুরু থেকেই ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে রাজনীতি করেছি।
তিতাস উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী ওসমান গনি ভূইয়া বলেন, আমরা নেতৃত্ব ও অভিভাবক শূন্য হইনি। আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির আরেক নীতি নির্ধারক উন্নয়নের কারিগর সাবেক মন্ত্রী ড. থন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি তিতাস বিএনপিরও অভিভাবক ছিলেন।
তিতাস উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান সেলিম ভূইয়া বলেন, এখন আমাদের একটাই প্রানের দাবি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আমাদের অভিভাবক হয়ে এখানকার বিএনপির হাল ধরবেন এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাদের আসন থেকে প্রার্থী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথি হয়ে পাশে থাকবেন।
দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান ভুলু সিকদার বলেন, আসন্ন একাদশ নির্বাচনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্যার ব্যতীত কুমিল্লা-২ আসন ধরে রাখা অসম্ভব।
ছাত্রদল সাবেক সভাপতি মনির হোসেন ভূইয়া বলেন, হোমনা ও তিতাস এখন আর অভিভাবক ও নেতৃত্ব শূন্য নেই। ড. মোশাররফ আমাদের হাল ধরেছেন আমরা অভিভাবক পেয়েছি, নেতা পেয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।