পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মানবিক কর্মসূচিতে হামলার পর সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে কোনো মানবিক কর্মসূচীও পালন করা যায়না। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণের জন্য কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে আক্রমণের পরে চট্টগ্রামে মানুষের ঢল নামে। দেড় কিলোমিটার রাস্তা যেতে তিন ঘন্টা সময় লেগেছে। গাড়ি চলতে পারেনি। এটা হচ্ছে মানুষের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। তারা রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠস্বর রাজপথে নেমেছিল। মরহুম এম কে আনোয়ার স্মরণে গতকাল (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাতীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের মৃত্যুতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ।
অনুষ্ঠানে আমির খসরু বলেন, সরকার দেশেক পরিপূর্ণভাবে ধবংস করছে। আজকে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ জাতীয় সংসদ, নির্বাহী ও বিচারবিভাগকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির ঘটনা একটি উদাহরণ। যার প্রভাব পড়ছে মানবিক কর্মসুচীতেও। দেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি। এজন্য খালেদা জিয়ার কর্মসূচি সাধারণ মানুষ নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মানবিক কারণে কক্সবাজার গিয়েছিলেন দেশবাসী সবাই জানে। আমি এসব কথা বলতে চাই নাই কিন্তু এমন একটা ঘটনা সরকার দলীয় লোকজন ঘটিয়েছে সেটা না বলেও পারছি না। একটা মানবিক কর্মসূচি আমাদেরকে করতে দেয়া হচ্ছে না। যে সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিল। দেশনেত্রী সেই মামলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশে এসেছিলেন। সেদিনও এয়ারপোর্ট থেকে গুলশান পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছিল। তারা আক্রমণ করেছে মানুষ আরো বেশি সংখ্যায় রাস্তায় নেমে এসেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখলে স্বৈরাচার মুক্ত হবে বাংলাদেশ। মরহুম এম কে আনোয়ারের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, একজন ভদ্র রাজনীতিবিদ হিসেবে মরহুম এম কে আনোয়ারের অভাব দেশের মানুষ অনুভব করছেন। তার মতো দক্ষ রাজনীতিবিদ দেশের জন্য দলের জন্য খুবই দরকার। সততা নিষ্ঠার জন্য তিনি আমাদের মাঝে উদাহরণ। তিনি সরকারি আমলা ও কেবিনেট সচিব ছিলেন। কিন্তু অন্যদের মতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করেননি। তিনি আমাদের পথ চলার পাথেয়। তারমতো একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদকে বার বার জেলে পুড়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনাকে সেফ এক্সিট দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন বেগম জিয়া। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করলেননা। কক্সবাজারে আমাদের কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিলনা। বেগম জিয়া তার বাড়িতে গেলেন ফেনীতে। সেখানে আপনারা হামলা করলেন। সেখানে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাতদিন আগে মিটিং করেছেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে দুদু বলেন, শেখ হাসিনা এখন নির্বাচনের নামে ভন্ডামি করতে চান। বিশ্ববাসীকে অন্ধকারে রেখে প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যেতে চান। এসময় সরকারকে গণতন্ত্রের পথে আসার আহŸান জানান দুদু। এম কে আনোয়ারের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এম কে আনোয়ার ছিলেন জাতীয় নেতা। তিনি সফল নেতা ও চাকরিজীবী ছিলেন। সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি অপ্রতিরোধ্য রাজনীতিবিদ এবং কখনো আপোস করেননি। দলের কঠিন সময়ে তিনি সবসময় পাশে ছিলেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আশাকরি তার স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারবো। সংগঠনের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাসাসের সহসভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা প্রমুখ। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।