পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার ও পুলিশ বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে সরকার যেন তার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অন্যায়ভাবে কোনো বাধা না দেয়। তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশ যে সমাবেশগুলো করেছে এগুলো তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সুতরাং ঢাকা শহরে ১০ তারিখে সমাবেশ হবেই হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে আমার সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তারা বিএনপি এবং দেশের জনগণকে সুরক্ষা দিবে।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ এর উদ্যোগে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে "দেশ নায়ক তারেক রহমান এর ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ড. মোঃ লুৎফর রহমান, ড. মোঃ এমতাজ হোসেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, সাইফুর রহমান মিহির, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, প্রকৌশলী রুহুল আলম, মোঃ রবিউল ইসলাম, সহিদুল হক সহিদ, প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান খান, নুরুন্নবী খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তারেক রহমান আগামী দিনের ভাবনার মূল ভিত্তি হল, তাহার বাবা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং তার মা খালেদা জিয়ার আদর্শ ধারণ করে, বাংলাদেশকে নতুন করে গঠন করা। তন্মধ্যে বিভিন্ন প্রাকৃতিক টর্নেডো করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব পরিস্থিতি যেমন উলটপালট হয়ে গেছে, তেমনি করে রাজনীতিতে ও পরিবর্তন ঘটিয়ে সকল পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে দেশকে নতুন করে গঠন করার ভাবনা তারেক রহমানের মাথায় রয়েছে। তিনি ইতিমধ্যে জাতীয় সরকারের ঘোষণা দিয়েছেন, রাষ্ট্রের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইতিমধ্যে দেশের গণতন্ত্রকে আমি মানুষ একটি ধারার দিকে অতিবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সকল রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে, গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, সেটাকে শুধু চেঞ্জ না তারেক রহমান রূপান্তর করতে চায়। এ সরকার শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করে যে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশীদের কাছে তদবির করে, তাহলে বিদেশীরা তাদের কূটনৈতিক অফিস বানায় কূটনৈতিকদের বসিয়ে রেখেছে তাদের কোনো দায়িত্ব নাই? এদেশে কি হয় সরকার কি করে এগুলা কূটনৈতিকরা যার যার দেশে সরকারকে জানানোটাই তাদের দায়িত্ব। এই জিনিসটা সরকারের মাথায় আছে বলে আমি মনে করি না।
তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে চাই না। কারণ জবাব দিতে হলে যে জায়গায় নেমে জবাব দিতে হবে সেই জায়গায় আমি নামতে পারব না। আমি শুধু একটি কথা বলতে চাই। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল এই দলের জনগণের পক্ষে কাজ করা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করা এটি একটি রাজনৈতিক দলের জন্য সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তাই সরকারকে এবং সরকারের পুলিশ বাহিনীকে হুঁশিয়ার দিয়ে বলতে চাই যে আগামী ১০ ডিসেম্বর এর আন্দোলনে সরকার যেন তার এই পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অন্যায় ভাবে কোন বাধা প্রাপ্ত না করে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারেক রহমান এমনই একজন নেতা যে, তিনি মাঠ পর্যায় থেকে রাজনীতি করে এ পর্যায়ে এসেছেন, তারেক রহমানের বাবা শহীদ জিয়াউর রহমান মাত্র ১২ বছরের মধ্যে তিনি চাকরি করেছেন, যুদ্ধ করেছেন এবং দেশ স্বাধীন করে দেশকে নতুন করে গঠন করেছেন এবং দেশে গণতন্ত্রপূর্ণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আর সেই মহা বীরের ছেলে হল জনাব তারেক রহমান। তিনি হাজার হাজার মাইল দূর থেকে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মনি কোঠায় পৌঁছে গেছে। যার নাম শুনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
তিনি বলেন, এই সরকারের এই মুহূর্তে বাঁচার একটি পথ রয়েছে সেটি হল তাদেরকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে হবে ।এছাড়া আন্দোলন সংগ্রামে দেশের যত ক্ষতি হবে তা এই সরকারের মাথায় দায় নিতে হবে। এ ছাড়া আর কোন ভালো পথ আমরা এ সরকারের জন্য দেখতে পাচ্ছি না।
এ সময় জিয়া পরিষদের মহাসচিব এমতাজ হোসেন বলেন, এ ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় বসে থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষতি করতে করতে ক্যান্সারের রূপান্তরিত করেছে, তাই এর ক্ষতি থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি যে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে এ সমাবেশের সামনে সারিতে থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হবে। এবং এই ফ্যাসিজ সরকারকে ক্ষমতা থেকে পতন ঘটাতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেত্রীকে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে পাঠিয়ে আমাদের থেকে অনেক দূরে রেখেছে। তাই আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এবং তারেক রহমানকে মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। দেশের সকল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেখিয়ে দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।