বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনী জেলা সংবাদদাতা : ফেনীতে বিএনপি নেত্রীর উপর হামলার ঘটনায় আ‘লীগ ও বিএনপি নেতারা একে অন্যকে দোষারোপ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। দুপুরে শহরের ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে আ‘লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খালেদার উপর হামলা বলে ঘোষণা দেয় জেলা নেতৃবৃন্দ।
প্রতিক্রিয়ায় বিকালে বিএনপি নেতারা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দীন মিস্টারের অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আহŸান করে। এ সময় তারা বিএনপিতে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল নেই দাবি করে বলেন, হামলার ঘটনায় আ‘লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত।
ফেনী জেলা আ‘লীগ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আ‘লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দীন হাজারী। লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেনীতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উপর হামলা সাজানো নাটক। আ‘লীগ চাইলে সাংবাদিক নয় খালেদার উপর হামলা হতো। অথচ তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ফেনী সার্কিট হাউসে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
ফেনী বিএনপি নেতারা দল উপদলে বিভক্ত হয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে খালেদার গাড়িবহরে হামলা করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ হামলার নেপথ্যে ছাত্রদল নেতা সোহাগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নিজাম হাজারী এমপি আরো বলেন, হামলাকারীদের কেউ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তারা যে দলেরই হোক আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যে অপরাধীদের ২/১ জনকে পুলিশ আটক করেছে। নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার কারণে প্রশাসন এখনো তাদের নাম প্রকাশ করছেনা বলে তিনি জানান।
দীর্ঘ ৩ মাস লন্ডনে চিকিৎসা শেষে অস্স্থু খালেদা বিমানে কক্রবাজার না গিয়ে দীর্ঘ ৫শ কিলোমিটার রাস্তা গাড়িতে করে যাওয়া রহস্যজনক।
চট্টগ্রাম বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে ফেনীর বিএনপি নেতা মোবারক গাড়িবহরে হামলার যে নীলনকশা তৈরি করেছিলেন তা ফেনী তথা দেশবাসীর অজানা নয়। ডা. শাহাদাত মোবারককে খালেদার গাড়ি পার হবার পর সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলার নির্দেশনা দেন। ফেনীতে আ‘লীগকে কলুষিত করতে এ হামলা বলে তিনি নিশ্চিত করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ‘লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সহ-সভাপতি অ্যাড.আকরামুজ্জামান, জিপি প্রিয়রঞ্জন দত্ত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ চৌধুরী ও সংগঠনের জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে জেলা বিএনপির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দীন । তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ার কল্যাণে বিশ্ব দেখেছে বিএনপি নেত্রীর উপর কারা হামলা করেছে। সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফেনী জেলা আ‘লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উপর হামলা করেছে।
নেত্রীর গাড়িবহরে হামলায় ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেনের একটি কথোপকথনকে চট্টগ্রাম বিএনপি সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেনের বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে আ‘লীগ। হামলার ঘটনায় ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও শর্শদি ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম জড়িত বলে উল্লেখ করেন। বিএনপির সকল নেতা ঐক্যবদ্ধ এবং জেলা বিএনপিতে কোন গ্রæপিং নেই বলে দাবী করেন নেতৃবৃন্দ। জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ফেনী সদর আসনের সাবেক এমপি জয়নাল আবদীন ভিপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানু, জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাড. আবু তাহেরসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।