Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

১৯৯২ সালের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে রাখাইনে ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার। এই প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়ায় যৌথ ঘোষণার চারটি প্রধান নীতি অনুযায়ী যাচাইয়ের পর রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে দেশটি। সোমবার ব্যাংককে নির্বাসিত মিয়ানমারের কয়েকজন সাংবাদিক পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এ খবর জানিয়েছে।
মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মুইন্ট কিয়াইং বলেন, প্রতিদিন একটি চেক পয়েন্টে প্রায় ১৫০ জনকে যাচাই-বাছাই করতে পারব। এর আগে মিয়ানমার সরকার জানিয়েছিল, দু’টি চেক পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া হবে। এই দু’টি চেক পয়েন্ট হলো টাউংপাইয়ো লেতই এবং নগা খু ইয়া গ্রাম। এরপর তাদের মংডু শহরের দার গিই জার গ্রামে পুনর্বাসন করা হবে।
স্থায়ী সচিব জানান, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১৯৯২ সালের যৌথ ঘোষণার কিছু অংশ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেন মিয়ানমারের বাসিন্দা হিসেবে প্রমাণ হাজির করতে পারা রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরতে পারে। তবে যৌথ ঘোষণার চারটি মূলনীতিতে কোনও পরিবর্তন করা হবে না।
এই চার মূলনীতির মধ্যে রয়েছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমাণপত্র দিতে হবে, প্রত্যাবাসন হবে স্বেচ্ছামূলক, ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া শিশুদের অভিভাবককে অবশ্যই মিয়ানমারে বাস করা ব্যক্তি হতে হবে, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের আদালত কর্তৃক নিশ্চয়তা।
মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব আরও জানান, যৌথ ঘোষণার আওতায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এই পদক্ষেপের মধ্যে থাকতে পারে যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে চেক পয়েন্টে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া।
সচিব জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয় নিয়ে উভয় দেশের আলোচনা চলছে। আগস্টের শেষ দিকে রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগ এনেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার ও সংস্থা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে। তবে বাংলাদেশে পালিয়ে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নিয়ে জাতিসংঘ ও রাখাইনের রাজ্য সরকারের তথ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়। এ বিষয়ে ইউ মুইন্ট কিয়াইং বলেন, সংখ্যা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। সংখ্যা যা-ই হোক মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে না পারলে আমরা তাদের ফিরিয়ে আনব না। সূত্র : ইরাবতি।



 

Show all comments
  • ১ নভেম্বর, ২০১৭, ১:১৬ এএম says : 0
    It may went worng around bangladesh & india. china going-on big or secret something keeping this two countries eye at Rohingga.....Hope our PM aware enough.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ