Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৭ শিক্ষক সংগঠনের যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা

শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী স্বাধীনতার স্বপক্ষের শিক্ষক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদেরকে শিক্ষা জাতীয়করণের আন্দোলনকে আরো জোরদার করতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আন্দোলন করতে হবে না। সে কারণে আমরা এতদিন বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করে সরকারকে শুধু সেই কথাটিই স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়াই সরকার শিক্ষক-কর্মচারিদের ন্যায্য দাবি পূরণ করবেন’।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭টি শিক্ষক সংগঠনের এক সভায় বক্তাগণ এ কথা বলেন। সংগঠনগুলো হল- বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ), বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (আসাদুল হক-ফয়েজ হেসেন), বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস), বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (আউয়াল-বিলকিস), বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (আজিজুল ইসলাম-মহসীন), বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি (সাত্তার-মো. আলী)।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা চাই বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা ও সকলের জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ। অথচ আমলা নির্ভরতার কারণে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করায় শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈষম্য আরো বৃদ্ধি পাবে।
বক্তারা বলেন, একই দেশে, একই কারিকুলামে এবং একই শিক্ষা নীতিতে এহেন দ্বৈতনীতি চলতে দেয়া যায় না, বিধায় বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের মাধ্যমে এর নিরসন হওয়া প্রয়োজন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করব।
সভায় ৭ শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যুগপৎ আন্দোলনের শপথ গ্রহণ করেন এবং প্রত্যেক শিক্ষক সংগঠনের দাবিনামা লিখিতভাবে সমন্বয়কারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আবুল কাশেমের নিকট আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ৭ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ন্যয়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। পাশাপাশি সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর অতীতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ পেনশন সুবিধা, ৫% বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, বাড়ি ভাড়া, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নির্দেশনাসহ এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে শিক্ষা ও শিক্ষক-কর্মচারিদের ন্যয়সঙ্গত দাবি পূরণ করবেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আসাদুল হক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল কাশেম, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব শাব্বির আহ্মদ মোমতাজী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামান, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মোহাম্মদ ফয়েজ হেসেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসীন রেজা, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুবকর চৌধুরী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহে আলম প্রমুখ।

 



 

Show all comments
  • হাফিজ সেলিম ১ নভেম্বর, ২০১৭, ১:০২ এএম says : 0
    বিষয়টি দ্রুত বিবেচনা করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • শোয়েব ১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:১৯ এএম says : 0
    একই দেশে, একই কারিকুলামে এবং একই শিক্ষা নীতিতে এহেন দ্বৈতনীতি চলতে দেয়া যায় না
    Total Reply(0) Reply
  • রশিদ ১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:২০ এএম says : 0
    সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এবার মনে হচ্ছে দাবি আদায় সম্ভব হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ইমতিয়াজ ১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:২২ এএম says : 0
    বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবের অতীতের রেকর্ড খুব ভালো। তিনি যে কাজে হাত দেন সেটা সফল হয়। তাই আমি আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • mdkhairulislamasamad ১ নভেম্বর, ২০১৭, ৬:২৬ এএম says : 0
    congratulation for jamyatul muslemin
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ জাকির হোসেন ১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৪৩ পিএম says : 0
    মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে সহকারি গ্রন্হাগারিক পদ থাকলেও দাখিল এবং আলিম মাদরাসায় উক্ত পদের এমপিও নেই কেন?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এ এম এম বাহাউদ্দীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ