রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
উত্তর জনপদে গৃহপালিত পশুর তীব্র খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নাটোরে গবাদিপশুর খাদ্যের সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় খাদ্যের সরবরাহ কম থাকায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পশু পালনকারী কৃষকরা। বর্তমানে ২৫টি শুকনো আওড় বিক্রয় হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা যা আগে বিক্রয় হতো ৫০ টাকায়। জানা যায়, এই অঞ্চলের গবাদিপশু পালনকারী কৃষক ও খামারিরা পশুর খাবার হিসেবে অগ্রহায়ণ মাসের রোপা আমন ধানের খড় সংগ্রহ করে রাখেন, যা দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পশুর খাবারের চাহিদা মিটে থাকে। জেলার লালপুর থানা আখ প্রধান হিসেবে বিখ্যাত হওয়ায় আশ্বিন-মাঘ মাস পর্যন্ত এই আখের পাতা গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলের মাঠে আখের চাষ তুলনামূলক কম হয়েছে। সময়মতো আখ মাড়াইয়ের কাজ শুরু না হওয়ায় প্রয়োজনীয় গবাদিপশুর খাবার সরবারহ না থাকায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের গবাদিপশু পালনকারী কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতবছর বন্য ও অতিবৃষ্টির কারণে মাঠে প্রয়োজনীয় রোপাআমন ধানের চাষ ও তার খড় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সংরক্ষণ করতে পারেনি, যে পরিমাণ খড় সংগ্রহ করা ছিল তা বর্ষার অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও মৌসুমের শুরু থেকে অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে মাঠের ঘাস তৃণলতাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। প্রয়োজনীয় খাবার না থাকায় অনেক কৃষকই গবাদিপশুকে কলার গাছ খাওয়াচ্ছেন এমন দৃশ্য সরেজমিন দেখা যায়।
এ ব্যাপারে জেলার লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের কৃষক, আসলাম, সুকমান, নাইম, লুকমান, আজিবর, কাসেমসহ অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা এসব কথা বলেন, গবাদিপশুর খাবার হিসেবে ঘরে যে পরিমাণ খড় মজুদ ছিল তা ফুরিয়ে গেছে, সময় পার হলেও এখনো মাঠে আখ কাটার কাজ শুরু হয়নি। দু-একটি জমিতে আখ কাটলেও অধিক দামে আখের পাতা কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া রোপাআমন ধান কাটা এখনো শুরু হয়নি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে। চলতি মৌসুৃম শুরু থেকেই প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে যার কারণে এ বছর ধানের খড় সংগ্রহ করতে পারব কিনা তা নিয়ে সংশয়। তবে মাঝেমধ্যে দু-একটি দোকানে যদিও শুকনো খড় উঠছে, তাও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। তাই গবাদিপশুর প্রাণ রক্ষার্থে বেশির ভাগ কৃষই পশুকে কলাগাছ খাওয়াচ্ছেন।
খড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘরে যে পরিমাণ মজুদ খড় ছিল তা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন আর খড় পাওয়া যাচ্ছে না, যদিও পাওয়া যাচ্ছে তা অধিক দামে কিনতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।