পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ নেতারা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে এ পথ থেকে সরে আসার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরাও আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই এখন ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের গাড়ির পাশাপাশি গণমাধ্যমের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারী কারা এটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। হামলা করেছে সরকার দলীয় লোকজন। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে উখিয়া সফর নিয়ে দুপুরে সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের এ বহরে নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপারে সরকার আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু তারা হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ ঘটনায় নিন্দা জানাবেন, দায়ীদের শাস্তির উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু তাদের কথাবার্তায় প্রতীয়মান হয় তারা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। রাজনীতিকে ধ্বংসের আরেকটি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে তিনি এসব জড়িত ছিলেন না। মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। জনগণ বুঝে গেছে, আওয়ামী লীগ সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ক্ষমতাসীন দল রাজনীতির প্রচলিত নিয়ম, গণতন্ত্রের নর্মস ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মির্জা আলমগীর বলেন, পথের সব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে বিএনপি চেয়ারপারসন গতকাল উখিয়াতে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্ব ও বৈশ্বিক সংস্থাগুলোকে মিয়ানমারের উপর আরও জোরালো কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে রোহিঙ্গারা দ্রুত নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে। আপনারা জানেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়াই প্রথমে রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে। তারপরও দেশনেত্রী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সংকট মোকাবিলায় কাজ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সরকারের যা করা উচিত ছিল সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে পারেনি। তিনি বলেন, বিএনপি বারবারই বলছেন- খালেদা জিয়ার এ সফরের উদ্দেশ্য মানবিক। পথে কোন সভা-সমাবেশ না করে তিনি সেটা প্রমাণও করেছেন। মির্জা আলমগীর বলেন, আপনারা দেখেছেন- পথের দুইপাশে লাখ লাখ জনতার ঢল নেমেছে। তারা স্লোগান দিয়ে, ফুল ছিটিয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, স্বাগত জানিয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে তিনি এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে ক্যারিশম্যাটিক লিডার। এত অত্যাচার, নির্যাতন, বাধার পরও জনগণের পাশে দাঁড়ানো থেকে তাকে বিরত রাখা যায়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন এবং এখান থেকেও তাকে বিরত রাখা যাবে না। সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদসহ চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে নেতারা চট্টগ্রাম বিএনপির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে চেয়ারপারসনকে অবহিত করেন। এ সময় চেয়ারপারসন সবাইকে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ দেন। তিনি নেতাদের কিছু নির্দেশনাও দেন। এছাড়া ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে সফরকে সফল করায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।