Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হেমন্তের হিমেল হাওয়া আর হালকা বৃষ্টিতে দক্ষিণের জনজীবনে অস্বস্তি

আমন নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হেমন্তের হীমেল হাওয়া আর মেঘলা আকাশের সাথে হালকা বৃষ্টি দক্ষিণাঞ্চলে শীতের আমেজ নিয়ে এসেছে। তবে খুব সহসাই শীতে নেমে আসছে এমন কথাও বলছে না আবহাওয়া বিভাগ। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধানও যথেষ্ঠ কমিয়ে দিয়েছে গত দু’দিনের এ বিরূপ আবহাওয়া। গতকাল বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ডিগ্রী সেলসিয়াসে হৃাস পেলেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ছিল ২৩.২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। অসময়ের এ হালকা বৃষ্টি সহ মেঘলা আবহাওয়া আমনের জন্য ঝুকি ক্রমশ বৃদ্ধি করছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশালে বৃষ্টি হয়েছে ২ মিলিমিটার। দুপুর আড়াইটার পরে মেঘের ছায়া সরিয়ে বরিশালের আকাশে আকষ্মিকভাবেই সূর্য উকি মারলেও তা মিনিটখানেকের বেশী স্থায়ী হয়নি।
আবহাওয়া বিভাগের মতে মওশুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবেই দক্ষিণাঞ্চল সহ উপক‚লভাগে গতকালও আরেকটি মেঘলা দিন অতিবাহিত হয়েছে। রবিবার দুপুর থেকেই দক্ষিণাঞ্চল সহ উপক‚লভাগে হালকা-গুড়ি বৃষ্টির সাথে মেঘলা আকাশ সুস্থ জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ায়। তবে হেমন্তের এ বর্ষন তাপমাত্রার পারদকে অনেকটাই হ্রাস করেছে। ঠিক এক সপ্তাহ আগে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ওপরে। গতকাল তা ২০.৬ ডিগ্রীতে হ্রাস পায়। তাপমাত্রা হৃাসের সাথে হীমেল হাওয়া তাপমাত্রা হ্রাসের অনুভ‚তিকে কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে অনেককেই শীতের কাপড় পরেই ঘর থেকে বের হয়েছে গতকাল।
গত ২০ ও ২১অক্টোবর সা¤প্রতিককালের ভয়াবহ প্রবল বর্ষণের পরেই তাপমাত্রার পারদ নিচ নামতে শুরু করে। হেমন্তের শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মেঘনা অববাহিকা সহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলকা জুড়েই হালকা কুয়াশায় ঢেকে যেতে শুরু করে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মওসুমী লঘুচাপের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে উপক‚লভাগে আবার মেঘের আনাগোনার সাথে হালকা বৃষ্টিতে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান খাদ্য ফসল আমন নিয়ে কৃষকদের দুঃশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। এ বিরূপ আবহাওয়ায় আমন সহ শীতকালীন শাক-সবজিতে কীট পতঙ্গের আক্রমনের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফ্তর থেকে আমনের জমীর পাশে আলোক ফাঁদ সহ ফসলের মাঠে গাছের ডাল পুতে পাখী বসার ব্যাবস্থা-‘পার্চিং পদ্ধতি’ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়া হয়েছে কৃষকদের। মাঠ কর্মীদের ফসলের মাঠে নিবিড় নজরদারী সহ কৃষকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অসময়ের এ বৃষ্টি সহ হীমেল হাওয়া বয়স্ক এবং শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যাধী বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এসময়ে স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর রাখার তাগিদে দিয়েছেন চিকিৎসকগণ। আবহাওয়া বিভাগ থেকে আগামীকাল থেকে মেঘ-বৃষ্টির প্রবনতা হৃাস পাবার কথাও বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ