বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিটি বাল্যবিয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা কেন দায়ী থাকবেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হযে এই রুল জারি করে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার এবং পৌরসভার ক্ষেত্রে কাউন্সিররা কেন প্রতিটি বাল্যবিয়ের জন্য দায়ী থাকবেন না, জনপ্রতিনিধি হিসেবে স্ব স্ব এলাকায় প্রতিটি বাল্যবিয়ের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা ও পদচ্যুতির আদেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। ¬
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে হবে।এ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, আদালত আগামী ৩ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ রেখেছে।
এই আদেশের কপি সব জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে পৌঁছে দিতেও জনপ্রশাসন এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জাতীয় দৈনিকে গত ২৮ অক্টোবর ২৪ ঘণ্টায় আট বাল্যবিবাহ বন্ধ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করে হাইকোর্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত নাটোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ঢাকার সাভারে আট কিশোরী বাল্যবিয়ে থেকে রেহাই পায় স্থানীয় প্রশাসনের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ঘটনা ছিল ১৩ হাজার ৩৩৪টি। পরের বছর ১৫ হাজার ৭৭৫টি বাল্যবিয়ে ঠেকানো গেলেও ২০১৬ সালে তা ৬ হাজার ৩৮৯টিতে নেমে আসে। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি। ১৮ বছর বয়স হওয়া আগেই বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।