রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ওসমানীনগর উপজেলার ঐহিত্যবাহী গোয়ালাবাজারের পূর্বপ্রান্তে বাজারে প্রবেশ রাস্তা পানহাটা থেকে কলারতল অটোরিকশা স্ট্যান্ড হয়ে গোয়ালাবাজার-ইলাশপুর পাকা রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ২০০ গজ রাস্তার কারণে প্রতিদিন সহস্রাধিক জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন কষ্ট। একটু রাস্তার জন্য দেড় কিলোমিটার জায়গা ঘুরে বাজারে আসতে হয়। তা ছাড়া রাস্তাজুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে বাজারের ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে আছে চারদিকে। এসব সমস্যা সমাধানের দাবিতে এলাকাবাসী ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, সিলেট শহরের পড়েই বড়বাজার হিসেবে পরিচিত গোয়ালাবাজার। সরকার প্রতিবছর এ বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। গোয়লাবাজারের মধ্য দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হওয়ায় বাজারের রয়েছে আলাদা গুরুত্ব। প্রায় পাঁচটি উপজেলার সাথে রয়েছে এ বাজারের সরাসরি সংযোগ। এ বাজার হয়ে সিলেট শহরে যেতে হয়। রয়েছে ছয়টি আঞ্চলিক পাকা সড়কের যোগাযোগ। রয়েছে স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইত্যাদি কারণে বাজারের গুরুত্ব বহন করে চলেছে। যার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। বাজারের পূর্বদিকে রয়েছে মাছবাজার, পানবাজার ও বিশাল পুকুর। এ পুকুরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে পূর্বাঞ্চলের মানুষ আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ। এ রাস্তা চলে গেছে পূর্বদিকে বালাগঞ্জ উপজেলায়। এ পথে সবসময় চলাচল করেন ওসমানীননগর, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ ও রাজনগর উপজেলা শতাধিক গ্রামের সহস্রাধিক জনসাধারণ। বাজারের পুকুর পাড় থেকে গোয়ালাবাজার-ইলাশপুর-বালাগঞ্জ পাকা সড়কে সংযোগ রয়েছে প্রায় ২০০ গজ কাঁচা রাস্তা। এ কাঁচা রাস্তার পাশে রয়েছে কাদির মিয়ার কলোনি ও অটোরিকশা (সিএনজি) স্টেশন। ২০০ গজ কাঁচা রাস্তা বৃষ্টি মৌসুমে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে পানিতে তলিয়ে যায়। বর্তমানেও রাস্তাটি পানির নিচে। অন্য দিকে বাজারের সব আবর্জনা এ রাস্তার পাশে ফেলে রাখায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব কারণে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে এ রাস্তার পরিবর্তে গয়নাঘাট হয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বাজারে আসতে হয়। মহাসড়কে অটোরিকশা নিষেধ থাকায় হেঁটে বাজারে যেতে হচ্ছে। অনেক সময় তিনগুন ভাড়া দিয়ে রিকশা নিয়ে যেতে হচ্ছে বাজারে।
দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করার পর কেউ যেন দেখার নেই। অথচ এ বাজার থেকে প্রতিবছর কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। অতিষ্ট হয়ে এলাকাবাসী গত ১৭ আগস্ট সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে রাস্তা মেরামতসহ সব সমস্যা সমাধান চেয়ে লিখিত আবেদন করা হয়।
এ ব্যাপারে হস্তিদুর গ্রামের হেলাল মিয়া ও রফিক মিয়াসহ অটোরিকশা স্টেন্ডের ম্যানেজার হারুন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমাদের এ ২০০ গজ রাস্তা সংস্কার না করার কারণে বর্ষাকালে দেড় কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে বাজারে আসতে হচ্ছে। এ একটু রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত আবেদনকারী তুতিউর রহমান চৌধুরী তুতা বলেন, এ রাস্তার সম্যসা প্রকট আকার ধারণ করেছে। মেরামতের জন্য সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছি। দ্রæত মেরামত করে সহস্রাধিক মানুষের চলাচলে স্বাভাবিক করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, এ রাস্তার মেরামত কিছু অংশ করা হয়েছে। বাকি অংশ আগামী বাজেটে করার চেষ্টা করা হবে। আর আবর্জনার ফেলে রাখার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ময়নুল হক চৌধুরী বলেন, দরখাস্ত একটা পেয়েছি। কোনো ফান্ড আসলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।