পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : ২০০৯ সালের মহামন্দার ধকল বিশ্ব অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে আবার নতুন করে মন্দার আশঙ্কা দেখছে মরগান স্ট্যানলি। এক পূর্বাভাসে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা ৩০ শতাংশ। এর আগে মন্দার ২০ শতাংশ ঝুঁকির কথা বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি। মরগান স্ট্যানলির মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সংকটের ঝুঁকি দিন দিন আরো বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। গত নভেম্বরে কোম্পানিটি পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০১৬ সালে বিশ্বের অর্থনীতি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ স¤প্রসারিত হতে পারে। তবে বিভিন্ন প্রভাবকের কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি অগ্রগতি দেখা যাবে, মরগান স্ট্যানলি এখন আর এমনটি আশা করছে না।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ আর্থিক অবস্থার ওপর ফেড, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক ও ব্যাংক অব জাপানের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির নিম্নগামিতার অন্যতম কারণ। এছাড়া চীনসহ বিভিন্ন উদীয়মান অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কমে যাওয়া এক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব রাখছে। মরগান স্ট্যানলির মতে, আরো দুটি ঘটনা বিশ্ব অর্থনীতিকে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর তা হলো, মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা এবং যুদ্ধবিধ্বস্থ সিরিয়া থেকে তুরস্ক ও ইউরোপে শরণার্থীর প্রবাহ। স¤প্রতি এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির তিনজন অর্থনীতিবিদ লিখেছেন, গত কয়েক মাসে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়েছে।
সংশোধিত পূর্বাভাসে প্রবৃদ্ধির হার কমানোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে, ২০১৬ সাল শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে। তারা জানান, আমরা মনে করি না চলতি বছর মন্দা দেখা দেবে। তবে প্রবৃদ্ধির ওপর জ্বালানির দরপতন ও আর্থিক নীতি শিথিলীকরণের নেতিবাচক প্রভাব আমাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ বা এর কম থাকলে মরগান স্ট্যানলি একে মন্দা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবমতে, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের কাছাকাছি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ২০ শতাংশ, যা গভীর ও দীর্ঘায়িত মন্দার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত বাজারগুলোর নিম্নগামিতা প্রবৃদ্ধি পতনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। চলতি বছর মার্কিন প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ ও আগামী বছর ১ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।