বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জমজ সন্তানের একজনকে ভূমিষ্ঠ করে অপরজনকে পেটে রেখে অস্ত্রোপচার শেষ করার ঘটনায় কুমিল্লার সভিল সার্জনসহ তিনজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর রোববার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ স্বতপ্রেণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। গৌরীপুরের লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’র মালিক, অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরার সঙ্গে কুমিল্লার সভিল সার্জনকেও আগামী ৭ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
সরকারি মালিগাঁও হাসপাতালের সহকারী সার্জন হোসনে আরা তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খাদিজা আক্তার (১৮) নামে এক প্রসূতির যমজ সন্তানের একজনকে ভূমিষ্ঠ করিয়ে আরেকজনকে পেটে রেখেই অস্ত্রোপচার সেলাই করেন বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। খাদিজার মা আমেনা বেগমের অভিযোগ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর হোসনে আরা ‘লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ তার মেয়ের অস্ত্রোপচার করেন। তার গর্ভে দুটি সন্তান থাকলেও অস্ত্রোপচার করে তিনি একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ করান; আরেকটি সন্তানকে টিউমার বলে অপারেশনের কাজ শেষ করেন। এরপর আমেনা এক মাস ধরে খাদিজাকে নিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে ছুটোছুটি করেন। পরে হোমনার একটি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাম করলে চিকিৎসক জানান, খাদিজার পেটে টিউমার না, আরেকটি সন্তান রয়েছে।
পরে গত ২৩ অক্টোবর রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৫ অক্টোবর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে একটি মৃত ছেলে সন্তান বের করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা। এদিকে ঘটনাটি প্রকাশের পর দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মো. জালাল হোসেন চিকিৎসক হোসনে আরাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠান। গঠন করেন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।