বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর থেকে : শেরপুরের সীামন্তাবর্তী গারো পাহাড়ে হাতী নিধন চলছেই। হাতির জন্য পাতা হচ্ছে বৈদ্যুতক মৃত্যুর ফাঁদ। আর সে ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে একের পর এক হাতি। গত এক বছরে শুধুমাত্র ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলাতেই মারা পড়েছে কমপক্ষে ৮টি হাতি। নির্বিকারে হাতি নিধন চললেও প্রশাসন হাতির মৃত্যুকে কখনও বিষক্রিয়ায়, কখনও ইউরিয়া খেয়ে হাতির মৃত্যু ইত্যাদি বলে এর সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দিচ্ছেন। এভাবে হাতি নিধন হলে অতিপিরিচিত এ বন্যপ্রানিটি অচিরেই এ এলাকা থেকে হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কথা মতো হাতি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা মানছেনা জেলা প্রশাসনের নির্দেশ।
গারোপাহাড়ে বনাঞ্চল ক্রমে কমে আসায় হাতির আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে হাতি চলে আসে লোকালয়ে। আর তখনই শুরু হয় হাতি মানুষের যুদ্ধ। গত এক বছরে এ পাহাড়ে হাতির আক্রমনে মারা পড়েছে ৩৫ জন মানুষ আর মানুষের আক্রমনে হাতি মারা পড়ে ৮টি। এ জন্য জানমাল রক্ষার জন্য জেনারেটরের সাহায্যে লাইট জালিয়ে হাতি তাড়ানোর কথা থাকলেও এখন সেই জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জিআই তার দিয়ে বিদ্যুতের বেড়া বানানো হচ্ছে। আর হাতি এলেই সেখানে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুতের সংযোগ। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বন্য হাতী। কিন্তু বন বিভাগ দেখেও না দেখার বান করে আসছে। আইন গত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
সারা এলাকাতেই জেনারেটরের বৈদ্যুতিক জিআই তারের বেড়া থাকলেও বনবিভাগ বা প্রশসনের পক্ষ থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়াই হয়নি। উল্টো স্থানীয় লোকদের বলা হলে তারা হাতি মৃত্যুর নানা গল্প বলে নিজিদেরকে আড়াল করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৭অক্টোবর রাতেও শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবতী বালিজুড়ি এলাকাতে আবারও জেনারেটরের তারে জড়িয়ে ভারত থেকে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসা এক বন্য হাতির মৃত্যু হয়। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি নির্মমভাবে এ হাতিটিকে মেরে ফেলে। এর দুইদিন আগে মারা পড়ে আরেকটি হাতি। এ জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দেয়ার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত জিডি করে দায়িত্ব শেষ করেছেন বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা।
বালিজুরি বিট অফিসার মো: রবিউল ইসলাম, প্রথমে এ প্রতিনিধিকে মামলা দেয়ার কথা বললেও পরবর্তীতে স্থানীয় হাতির খুনিদের চাপে মামলা এবং নানাভাবে ম্যানেজ করে মামলা দেননি। রেঞ্জকর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের চাপ আছে মামলা দেয়া যাবে না। বড় জনপ্রতিনিধির নির্দেশ আছে। তাহলে স্থানীয় পরিবেশবাদীদের প্রশ্ন তবে কি জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশেই হাতি নিধন হচ্ছে। আর বনবিভাগ তাদের সহায়তা করছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশও তাদের কাছে কিছু না ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।