পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার রোহিঙ্গাদের জন্য নূন্যতম দরদ নাই। তাদের প্রতি দরদ থাকলে বিনা কারণে ৩ মাস বিদেশ থাকতেন না। মানবিক কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের কাছে যাচ্ছেন। ত্রাণ বিতরণের জন্য নয়, গাড়ীবহর নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কাজের প্রতিবদ্ধকতা তৈরি করতেই তিনি সেখানে যাচ্ছেন। এর আগে বিএনপি নেতারা গিয়ে ফটোসেশন করে এসেছেন। এখন তাদের নেত্রী রাজনীতি করতে যাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে শরীয়তপুর ও ল²িপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণের জন্য গতকাল সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল। তারা মানবিক কারণে কখনও মানুষের পাশে দাড়ায় না। সুবিধার জন্য কাজ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নিপীড়িত মানুষের পাশে সব সময় থাকে। ২৫ আগ্স্ট থেকে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা শুরু করে রোহিঙ্গারা। তার কয়েকদিন পরই দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা সেখানে ছুটে যাই। সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, বাসস্থান, খাওয়ার ব্যবস্থার উদ্যোগ নেই। নিরাপত্তা ঝুকি থাকা সত্তে¡ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ সেপ্টেম্বর সেখানে গিয়েছেন। পরম মমতায় অসহায় সর্বহারা রোহিঙ্গাদের বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা। তিনি ঘোষণা করেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। অসহায় মানুষের পাশে থাকবো আমরা। আর বিএনপি নেত্রী অসুখের দোহাই দিয়ে তিন মাস লন্ডনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেন। এরপর দেশে ফিরে তার মনে হয়েছে, রোহিঙ্গাদের কাছে যেতে হবে। আসলে মানবিক কারণে নয়, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তিনি কক্সবাজার গেছেন। গাড়ীর বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে ভ্রমনে বের হয়েছেন। ঢাকা থেকে বিএনপির বিশাল গাড়ী বহরের কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গার মহাসড়কে যানজট সৃষ্টির কারণে সরকারি ত্রাণ বাহী গাড়ীর রোহিঙ্গা শিবিরে যেতে বাধাগ্রস্ত হবে। মানুষেরও দুভোর্গ পোহাতে হবে।
চট্রগ্রাম বিভাগীয় এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক প্রায় একটানা এক মাস, আমি নিজেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ একটানা দেড় মাসের বেশি সেখানে থেকে রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়া, স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার করেছি। কেন্দ্রীয়, জেলা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সংবাদ মাধ্যমই পাশে দাড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের। সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রী সেখানে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করেছেন। আর দু-একদিন বিএনপি নেতারা গিয়ে সেখানে ত্রাণ বিতরণের নামে ফটোসেশন করেছেন। সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রসাশন, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ তাদের পাশে দাড়িয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, হাবিবুর রহমান সিকদার, আবুল হাসেম দেওয়ান, কাওসার আহমেদ ত্বকী, খালেক খালাসী, সাইফুদ্দিন নাসির, ল²িপুরের রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ, রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বাকী বিল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।