Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গাবতলীতে বন্যায় ক্ষতি ৭০ কোটি : বরাদ্দ ৬৪ লাখ টাকা

আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে ঃ | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 দফায় দফায় বন্যায় বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ৭০কোটি টাকার কৃষকের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ বিপরিতে কৃষকদের পূর্নবাসনের জন্য প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৬৪লক্ষ টাকা মূল্যের সার ও বীজ।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গাবতলীর ১১টি ইউনিয়ন’সহ পৌরসভা এলাকায় মোট প্রায় ৫হাজার ৮শ ৫০হেক্টর জমিতে এর মধ্যে রোপা আমন, সবজি, বেগুন, কলা, পেপে, কুমড়া, শশা, করলা ও পটলসহ বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল। কাগইলে ২৯০হেক্টর, দক্ষিণপাড়ায় ৩শ হেক্টর, নেপালতলীতে ১হাজার হেক্টর, সোনারায়ে ৫৫০হেক্টর, রামেশ্বরপুরে ৩শ হেক্টর, নাড়–য়ামালায় ৪৫০হেক্টর, গাবতলী সদরে ২৩০হেক্টর, নশিপুরে ৩৫০হেক্টর, মহিষাবানে ৬শ হেক্টর, দুর্গাহাটায় ১হাজার ৫০হেক্টর, বালিয়াদিঘীতে ৭৩০হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে প্রায় ৭০কোটি টাকা বন্যায় কৃষকদের ফসলের ক্ষতির তালিকা প্রেরন করা হলে এর বিপরিতে কৃষি অধিদপ্তর বন্যায় গাবতলীতে কৃষকদের পূর্নবাসন ও প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় ১ম ও ২য়ধাপে প্রায় ৬৪লক্ষ টাকার বীজ ও সার বরাদ্দ প্রদান করেছে। ১ম ধাপে ২হাজার ৫জন (প্রতিজন ১বিঘা জমি) এর মধ্যে সরিষা ১হাজার ৬৭০জন, গম বীজ ৫শ জন, মাসকালাই ১৬০জন, ভূষ্টা ৬২৫জন, মুগডাল ৯৫জন, বিটিবেগুন ৫জন কে ৩২লক্ষ টাকা এবং ২য়ধাপে সরিষা ৩৫০জন, ভূষ্টা ১শ জন, বোরোধান ৫শ জন কে প্রায় ৩২লক্ষ টাকা মোট ৬৪লক্ষ টাকার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০১৭-১৮অর্থ বছরে বীজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ উদ্বোধন করেছেন গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন ও গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। এর ধারাবাহিকতায় ২হাজার ৫জন কৃষকদের মাঝে জনপ্রতি ১কেজি সরিষা বীজ, ২০কেজি ডিএপি সার এবং ১০কেজি এমওপি সার দেয়া হয়। গাবতলী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে কৃষক তাদের বন্যায় ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, এ বছরে উপজেলা পর্যায়ে গাবতলীতে সবচেয়ে বেশী বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এতে কৃষকদের ফসলের ক্ষতির দুরচিন্তা থেকে বাঁচতে ও আগামীদিনে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। এতে কৃষক বন্যায় ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য যে, এ মৌসুমে উপজেলাতে আমনধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১৫হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে ১৪হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৫২হাজার ৮শ ৫০মেট্রিক টন (চাল)। গাবতলী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর আশা করছেন এবছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ