বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সোনারগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা : সোনারগাঁয়ে সালিশী বৈঠকে বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ বিল্লাল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল সকালে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের উলুকান্দীর মামরকপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি তার ছেলে আবুবকর স্বীকার করলেও এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার আিভযোগে আলী আকবর ও ইশরাত জাহান সিফাত নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। জানাগেছে, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের উলুকান্দী’র মামরকপুর গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে ডিস ব্যবসায়ী আলী আকবরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল একই গ্রামের ইসমাইলের ছেলে ফারুক ও নয়নের। ওই বিরোধ মিমাংসা করতে শুক্রবার সকালে মামরকপুর গ্রামে উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে এক সালিশে বসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সালিশে উভয় পক্ষের স্থানীয় লোকজন ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিকে ভাড়ায় স্ব-স্ব পক্ষে কাজ করতে আনেন। তারই ধারাবাহিকতায় সালিশ চালাকালীন ফারুক ও নয়নের বোন ইশরাত জাহান সিফাতের পক্ষে রুহুল আমিন নামে একজন শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সালিশের মধ্যে এক পর্যায় উভয় পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা মূহুর্তে প্রতিপক্ষ আলী আকবরকে লক্ষ্য করে শর্টগান দিয়ে গুলি করে রুহুল আমিন, কিন্তু লক্ষ্য ভেদ করে গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় একই পক্ষের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে বিল্লাল হোসেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পরই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, নিজের পক্ষের লোক গুলিবিদ্ধ হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলী আকবর ও ইশরাত জাহান সিফাতকে আটক করে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউনিয়ন সদস্য (মেম্বার) মজিবুর রহমান বলেন, সালিশের ঘটনা আগে কিছুই জানতাম না। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঘটনাটি লোকমুখে জানতে পারি। এর বেশি কিছুই জানিনা। সোনারগাঁ থানার ওসি মোর্শেদ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘খ’ অঞ্চল) সাজেদুল রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। দুইজনকে আটকও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।