বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি লি. এবং চীনের টিবিইএ জিনজিয়াং সানওয়েসিস কো. লি. এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান তিস্তা সোলার লিমিটেডের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। গতকাল বৃহষ্পতিবার রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের বিদ্যুৎ ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডে (পিজিসিবি) এর সাথে একটি বাস্তবায়ন চুক্তি করে তিস্তা সোলার। তিস্তা সোলারের পক্ষে উভয় চুক্তিতে সই করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বিপিডিবি’র সচিব মিনা মাসুদ উজ্জামান, সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফায়েজুল আমিন এবং পিজিসিবি’র পক্ষে সই করেন কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এমপি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো গ্রæপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে যাচ্ছে তিস্তা সোলার। চুক্তি অনুসারে আগামী ২০ বছর এই প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রতি কিলোওয়াট ১৫ সেন্ট দরে ক্রয় করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
জৈব জ্বালানী থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বর্তমান সময়ে একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। একারনে নবায়নযোগ্য জ্বালানী শক্তি ভবিষ্যতের সমাধান। এটা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের শতকরা ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানী থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করেছে, যার বেশিরভাগ আসবে সৌরশক্তি থেকে। সরকারের এই লক্ষ্য পূরনে এগিয়ে এসেছে বেক্সিমকো। দেশের সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। এই প্রকল্পের সুষ্ঠু নির্মাণ সম্পন্ন করতে বিশ্বের সেরা কনসালটেন্টদের নিয়োগ করা হযেছে। প্রায় এক হাজার একর জমির উপর নির্মিতব্য এই প্ল্যান্টটিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা অনুসারে ছায়ার মধ্যে ফলনশীল সবজি উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজড় দিচ্ছে তিস্তা সোলার। এর ফলে জমির বিবিধ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
এই প্ল্যান্টের কারনে সুন্দরগঞ্জ এবং গাইবান্ধার আর্থ-সামাজিক অবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হবে। প্ল্যান্টের সাথে যোগাযোগ নিশ্চিত করতে তৈরি হবে নতুন নতুন রাস্তা। তিস্তা নদীর পাশে নির্মিতব্য এই প্ল্যান্টে শত শত লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্কে তিস্তা সোলারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং সরকারে নবায়নযোগ্য জ্বালানী শক্তি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরনে এই প্ল্যান্টটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।