Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বড়পুকুরিয়া তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে এম এ জলিল সরকার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় বড়পুকুরিয়া তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রে নবনির্মিত ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান আগামীতে এখানে দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরো একটি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মিত হবে। এতে করে দেশে বিদ্যুত ঘাটতি অনেকাংশে লাঘব হবে। লোভোল্টেজের সমস্য দূর হয়ে দেশের উত্তর পশ্চিম জোনে বিদ্যুতের চাহিদা পূরন হবে। সারাদেশের ট্রান্সমিশন লস ও লোডশেড়িং কমে আসবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, বোর্ডের সদস্য (পিএন্ডডি) আজহারুল ইসলাম, প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আ: হাকিম সরকার, প্রকল্প পরিচালক চৌধুরী নুরুজ্জামান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবউদ্দিন , ইসতিয়াক ইন্ডিয়া লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কে পি মুরালি, কনসালটেন্ট আ: মালেক, সান্তনু চৌধুরী, সমরেশ নন্দিসহ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তৃতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন ইকুইপমেন্টের টেস্টিং এবং কমিশনিং কাজ চলছে। আগামী মাসে জাতীয় গ্রিড়ে উৎপাদিত বিদ্যুত সংযোগ ও পরীক্ষামূলক চালু হতে যাচ্ছে বলে জানান তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান। এ লক্ষে গত ১৬ অক্টোবর তৃতীয় ইউনিটের নবনির্মিত প্রথম বয়লার ফায়ার করা হয়। আগামী নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ইনিসিয়াল কমার্শিয়াল অপারেশন কাজ শুরু হয়ে তা দেড় মাসাধিক সময় ধরে চলবে এবং জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয় ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিন বছর প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হলেও দেশীয় প্রকৌশলীদের দক্ষতায় আড়াই বছরে প্রকল্পটি উৎপাদনে যাচ্ছে। সূত্র মতে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পশ্চিম পাশের্^ কয়লাভিত্তিক এই ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতকেন্দ্রটি রয়েছে। এখানে ১২৫ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ বিদ্যুত কেন্দ্রটিকে সম্প্রসারণ করে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি স্থাপন করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের জুনে অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে জুলাই মাসে চায়না হারবিল কোম্পানি তৃতীয় ইউনিটটির কাজ শুরু করে। তিন বছরে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদে ব্যয় ধরা হয়েছে। ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ দুই হাজার ৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না জয়েন্ট ভেঞ্চার হারবিল ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লি: এবং সিসিসি ইঞ্জিনিয়ারিং পি আর চায়না। পরে মন্ত্রী বড়পুকুরিয়া থেকে সড়কপথে ২০ কিমি দক্ষিণে নবাবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়া কয়লা ক্ষেত্র পরিদর্শনে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ