রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীর উপর নির্মিত মুহুরি সেচ প্রকল্পটি প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, ১৯৭৭-৭৮ থেকে ১৯৮৫-৮৬ সালে ৭১৫৯.১২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। যার লক্ষ্য ছিল ফেনী জেলার সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার (কিয়দংশ) এবং চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার কিয়দংশে ৪০.০৮০ হেক্টর (গ্রস) ২৭১২৫ হেক্টর চাষযোগ্য এবং হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করাসহ নদী ভাঙন রোধ ও সোনাগাজী উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলাকে জোয়ারের নোনা পানি থেকে রক্ষা করা। এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৫ হাজার মেট্টিক টন খাদ্যশষ্য। কিন্তু রেগুলেটরটি নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।
এ ব্যাপারে কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় খাল সংস্কার, খাল খনন, শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহ না করার করণে ও দীর্ঘদিন ধরে শুষ্ক মৌসুমে মুহুরি নদীতে বড় বড় মোটর বসিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সেচ দিয়ে পানি উত্তোলন করে ত্রিপুরা রাজ্যে চাষাবাদ করে আসছে। ফলে মুহুরী ও বড় ফেনী নদীর নাব্য কমে যায়, যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক উপজেলার কৃষক। আর প্রয়োজনীয় খালগুলো সংস্কারের অভাবে পানি সরবরাহ হচ্ছে না।
এদিকে সংস্কার না করার কারণে প্রকল্পটির উপর অংশে ও প্রকল্পটির প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সড়কের উপর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১৬.১৮ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে ফেনীতে কমর্রত নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কহিনুর জানান, প্রয়োজনীয় অর্থ সঙ্কটের অভাবে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভাব হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।