বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছিল।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রশ্ন ফাঁস, ওয়েমার ফিক্সিং, প্রোক্সি এবং বিশেষ রুমে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে পিছিয়ে পড়ছেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা ।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত’র প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। কয়েকটি তদন্ত মাঝ পথে থেমে আছে। ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁস, বিশেষ কক্ষে পরীক্ষা নেয়া এবং ওয়েমার ফিক্সিং হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধরণের দুর্নীতি ।
মেধাবীরা এ কারণে পিছিয়ে পড়ছেন। পরীক্ষা এলেই একটি চক্র সক্রিয় হয়। এর মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়, লক্ষ লক্ষ টাকা । এমন একটি সময়ে এই কাজগুলো করা হয়, যে সময় ভিসি মহোদয়ের কক্ষে পাবনার প্রায় সকল সাংবাদিক প্রেসব্রিফিং এ ব্যস্ত থাকেন।
তারা আসলে কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে পারেন না। এই সিফটে বিশেষ রুমে পরীক্ষা চলে। প্রেস ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকরা চলে আসেন। ততক্ষণে বিকাল সিফটের পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়।
পাবনার কয়েকজন অভিভাবক প্রশ্ন তুলেছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি বড় নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বড়? মহামান্য রাষ্ট্রপতি ইতোপূর্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে একই প্রশ্নে মেডিক্যাল কলেজের মত ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তাব দিয়ে ছিলেন। সেটি মানা হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় সায়ত্বশাসনের কথা বলছেন। কিন্তু সায়ত্ব শাসন দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না। কোন বাইলজের সেই ক্ষমতা নেই। প্রশ্ন ফাঁসের গুজবের ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সক্রিয় হতে বলেছেন, অভিজ্ঞ মহল। তারা বলছেন, যা রটে তারা কিছুটা সত্য বটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।