পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিবির সাত সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনী ঠিক কাজই করেছে -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের আগেই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে জয়েন ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। তারা টার্ম অব রেফারেন্স (টিআর) তৈরি করবে এবং সেই টিআর এর ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ-মিয়ারমারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, আমি সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী এবং সবশেষে সেদেশের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অং সান সু চি’র সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা কেউই অস্বীকার করেনি যে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবেন না। তারা আমাকে আশস্ত করেছেন। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের যেকোনও নাগরিক একজন ক্রিমিনালকে আটক করতে পারে। আটকের পর ক্রিমিনালকে পুলিশে সোপর্দ করাই মূল কাজ। সেনাবাহিনী সেই কাজটিই করেছে। টেকনাফে মুক্তিপণের টাকাসহ ডিবির সাত সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনী ঠিক কাজই করেছে। তিনি বলেন, আমি মিয়ানমারের নেতাদের বলেছি, রোহিঙ্গারা যদি বেশি দিন বাংলাদেশে থাকে, তাহলে বিশ্ব জঙ্গিবাদের সঙ্গে ওরা একত্রিত হতে পারে। এটি যদি হয় তাহলে তোমরা এবং আমরা সবাই সমস্যায় পড়বো। তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। তবে তারা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন চায়। সেজন্য কিছুটা সময় লাগবে। আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সু চি’কেও আমি একই কথা বলেছি। ওনাকে বাড়তি যা বলেছি তা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইভাবে আপনিও মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাখাইনরা যে বাংলাদেশে এসেছে এটি নতুন কোনও ঘটনা নয়। আজ থেকে ১০০ বছর আগেই তো তারা কুয়াকাটায় এসেছিল। তারাতো এখনও আছে। মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সরকার তখন আমাদের বলেছে, এটি মিয়ানমার সেনাবাহিনী করেনি। দুষ্কৃতিকারীরা তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের বলেছেন, বাংলাদেশে কোনও দুষ্কৃতিকারীর অবস্থান নাই। বাংলাদেশ কোনও দুষ্কৃতিকারীদের প্রশ্রয় দেয় না। তোমাদের দেশে যদি কোনও দুষ্কৃতিকারী থাকে তাদের তালিকা দাও। আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। এ সময় সু চি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি অনুরোধ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সু চি বলেন, রোহিঙ্গারা তো মিয়ানমারে ফিরে আসতে চায় না। তোমরা ওদেরকে ফিরে আসার জন্য উৎসাহিত করো, অনুপ্রাণিত করো। সু চি’র অনুরোধের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তোমরা যদি তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় বাসস্থান এবং জীবনধারণের ব্যবস্থাপনা সুনির্দিষ্ট করতে পারো, তোমাদের প্রতি আস্থা তৈরি করতে পারো, মোট কথা একটি শান্তি পরিবেশ যদি নিশ্চিত করতে পারো, তাহলে ওরা আসবে। তবে এর জন্য তোমাদেরকে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ অনুসরণ করতে হবে। এ সফরকে নেতিবাচক হিসেবে দেখেন কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না দেখি না। এটি একটি সফল ট্যুর। রোহিঙ্গার সঙ্কটের মধ্যে গত সোমবার ২৩ অক্টোবর মিয়ানমার সফরে যান কামাল। নে পি দোতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী মিয়ানমারে সফরে যাবার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধ করে অপরাধী পার পেয়ে গেলে বা অপরাধীর বিচার করা না হলে বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুন্ন হতো। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তা প্রমাণিত হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন পক্ষপাত দুষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, অভিযোগ উঠলে তা পুনরায় তদন্ত করার জন্য একাধিক কর্তাব্যক্তি রয়েছেন। সব শেষে প্রয়োজন হলে এমপিরা রয়েছেন। সংসদীয় কমিটিও যেকোনও অভিযোগ তদন্ত করার এখতিয়ার রাখে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপেক্ষা করুন, দেখুন, সঠিক বিচার হয় কিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।