Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ফরিদপুরে ৯ বছরের হিসাব-নিকাশ শুরু

| প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


নাজিম বকাউল, ফরিদপুর থেকে : ফরিদপুরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা হিসাব নিকাশ শুরু করেছে। চাঙ্গা হচ্ছে মনোবল ভোট কাকে দিবে না দিবে। কে কতটুকু কি পেয়েছে। তবে, তৃণমূল সাধারণ ভোটাররা অনেক সচেতন হয়েছেন। গত নির্বাচনের মত ভোট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ভোটারদের ভাবনা ভোট দিব আমরা সুবিধা ভোগ করবে চামচারা। ওই চামচারা কোটি কোটি টাকার মারিক হবে আর আমরা মামলা হামলা নির্যাতনের স্বীকার হব। এবার তা হতে দেব না। যোগ্য প্রার্থীকেই হিসাব নিকাশ করে ভোট দিবো। তারা এও বলেন, গত ৯ বছরে ৪টি আসনের ১০/১২ জন নেতারা মোটা তাজা হয়েছে। বিতারিত হয়েছে প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেক নেতাকর্মীরা ফরিদপুর থেকে বিতারিত হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছে। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদেরকেও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে চলছে একটি প্রভাবশালী মহল। ওই মহলটি ফরিদপুর জেলাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। একারণে ফরিদপুরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনী আসনের ৪টি আসনই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক নেতাকর্মীরা ও কিছু কিছু সাংবাদিকরা সমালোচনা করছেন এবং লিখছেন ফরিদপুর-৩ আসন ব্যতিত সবগুলি আসনই হেভী ওয়েট প্রার্থীদের সাথে লড়াই হবে।
বাস্তবতা তা নয়। নেতাদের পামপট্টি দিয়ে ফুলিয়ে রাখার জন্য বলতে থাকে, ফরিদপুর-৩ আসনটি আওয়ামীলীগের আসন। এই মিথ্যা কথা বলে, নেতাকে ভেতরের অবস্থা বুঝতে দিচ্ছেন না। একারনেও অনেক ক্ষতিসাধন হতে পারে। ফরিদপুর -১ আসন বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালী নিয়ে গঠিত। ফরিদপুর-২ নগরকান্দা-সালথা নিয়ে গঠিত, ফরিদপুর-৩ ফরিদপুর সদর নিয়ে গঠিত, ফরিদপুর-৪ ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত। প্রতিটি আসনই আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল চরমে। এই কোন্দলের কারণেই ব্যাপক উন্নয়ন করার পরও বিএনপির প্রার্থীরা এগিয়ে আছে। এই মুর্হুতে আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল না মেটালে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনই ঝুঁকিপূর্ণ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগের একাধীক প্রবীন নেতাকর্মীরা জানান, কিছু কিছু নেতা দীর্ঘ ৯ বছর পরে কোন্দল মেটানোর কথা বলছেন। কিন্তু নির্যাতিত এবং বিতারিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই নেতাদের এসকল কথা মানতে নারাজ। তারা বলেন, ৯ বছর কষ্ট করে চলেছি, আগামীতেও কষ্ট করে চলবো। আর কাউকে সুবিধা দিয়ে নিজেদের বিসর্জন দেব না।

 



 

Show all comments
  • Nurul Islam ২৯ অক্টোবর, ২০১৭, ৪:৫০ পিএম says : 0
    কোনও কোনও নেতা তো গায়ের জোরে ভোট নিতে চাইছেন ! ভাব খানা এমন যে, নৌকার নমিনেশন পাইলেই নিস্চিত এমপি! আর এজন্যই ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর দমন পীড়নের মাত্রা চতুর্গুন বাড়িয়ে দিয়েছে !!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ