রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নদীর ওপর ভাঙাচোরা সাঁকো। তারপরও হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। পার করছে সাইকেল, ভ্যান ও মোটরসাইকেল। প্রয়োজনের তাগিদই মানুষকে ঝুঁকি নিতে বাধ্য করছে। এমনই বিড়ম্বনার দৃশ্য দেখা যায় জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শালিকা-কাঁটিপাড়া সড়কের কপোতাক্ষ নদীতে সাঁকো পারাপারের সময়। অতি প্রয়োজনীয় এই সড়কটিতে সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ শালিকা-কাঁটিপাড়া সড়কটি দিয়ে খেশরা, জালালপুর ও মাগুরা ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ কাঁটিপাড়া বাজার, বাঁকাবাজার, পাইকগাছা উপজেলা, আশাশুনি উপজেলা ও সাতক্ষীরা জেলা শহরে যাতায়াত করে। একটি সেতুর অভাবে তাদেরকে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে কপোতাক্ষ নদী ভরাট ও পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য সাঁকোর ওই স্থানটিতে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ২০১৩ সালে পাখিমারা টিআরএম ও কপোতাক্ষ পুন:খনন প্রকল্পের আওতায় এই নদীটি খনন করার সময় রাস্তাটি ভেঙে ফেলা হয়। তখন থেকে জনগণের দুর্ভোগ শুরু হয়। জনসাধারণের সাময়িক চলাচলের জন্য স্থানীয় জনগণ খেশরা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও খেশরা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জের সমন্বয়ে একটি ঘাট কমিটি তৈরি করে নিজেদের অর্থায়ানে সেখানে সাঁকোটি তৈরি করে। ঘাট কমিটির পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল ও ভ্যান প্রতি ১০ টাকা সাইকেল প্রতি পাঁচ টাকা ও জনপ্রতি দুই টাকা করে টোল আদায় করা হয়। মাল বোঝাই যানবাহন আনা-নেওয়া ও টোল দেয়ার ভয়ে জনগণ শুকনো মৌসুমে শালিকা কলেজের সামনে দিয়ে বিকল্প মাটির রাস্তা হয়ে চলাচল করে। এতে তাদের সময় বেশি লাগে এবং খরচ বেশি হয়। আর বর্ষা মৌসুমে সাঁকো পারাপার ছাড়া আর কোনো উপায়ই থাকে না।
রেজাউল নামের একজন এলাকাবাসী বলেন, সেতু না থাকায় সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে খুব অসুবিধা হয়। কাঁটিপাড়া ও বাঁকাবাজার থেকে জিনিসপত্র আনতে অনেক ঝামেলা হয়। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নিতে গেলে সাঁকোর ওই পাড় পর্যন্ত ভ্যানে করে নিয়ে যেতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স পার হতে পারে না।
আবু তালেব নামের একজন ধান ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় প্রতিদিন কাঁটিপাড়া বাজারে আমাকে ধান নিয়ে যেতে হয়। সাঁকোর এপার থেকে ভ্যান আনলোড করে ধানের বস্তা মাথায় করে নিয়ে ও পারে গিয়ে আবার ভ্যানে তুলতে হয়। এতে ক্যারিং খরচ অনেক বেশি হয়।
এলজিআরডি কর্তৃপক্ষ স্থানটি কয়েকবার মেপে গেলেও সেতু নির্মাণের ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
অতি তাড়াতাড়ি এই স্থানটিতে একটি সেতু নির্মাণের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।