Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনার বটিয়াঘাটায় ৪ লাখ তালবীজ বপন : এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

আবু হেনা মুক্তি, খুলনা থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

একক কান্ডবিশিষ্ট তালগাছ একটি অতি প্রাচীন বৃক্ষ। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ২১টি বøকে ৪৮৮ কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশে মোট ৯৭৬ কিলোমিটার রাস্তায় তিন লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০টি বীজ বপন করা হয়েছে। এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বেশি করে তাল গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাল গাছের একটা গুণ আছে। বজ্রপাত হলেই কিন্তু সেটা এসে তালগাছে পড়ে। তালগাছ বিদ্যুৎ টেনে নেয়। কিন্তু আমাদের দেশে আস্তে আস্তে যেন তাল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় এই তালগাছ আবার লাগানো শুরু করা উচিত। সা¤প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধামন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইদানিং বজ্রপাত খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। এক সময়, বাংলাদেশের প্রতিটি রাস্তায়, বাড়ির কোণায় কিংবা মসজিদের পাশে সব জায়গায় তালগাছ দেখা যেত। ইদানীং তালগাছ নাই। তালগাছ কেউ লাগায় না।’ আগে প্রত্যেক বাড়ির সঙ্গে তালগাছ থাকত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ¡াসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে উপক‚লীয় এলাকাসহ গোটা দেশকে সবুজ বেষ্টনীতে পরিণত করতে সবাইকে বেশি করে গাছ লাগানোর আহŸান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বজ্রপাত মোকাবেলায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর এর উদ্যোগে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় গত ৩০ জুলাই জলমা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাল গাছের বীজ বপন শুরু হয়েছিল। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুবায়েত আরা জানান, আড়াই মাসব্যাপী এ কর্মসূচির আওতায় সমগ্র উপজেলার একুশটি বøকে ৪৮৮ কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশে মোট ৯৭৬ কিলোমিচার রাস্তায় তিন লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০টি বীজ বপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলার কৃষকদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাল গাছের উপকারীতা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে তালবীজ বপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করার আহŸান জানানো হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর চিলিন্দামারি জগৎমাতা মন্দির থেকে আনোয়ারের বরফকল পর্যন্ত ৫০০টি বীজ বপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি এ উদ্যোগের জন্য কৃষি বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন ‘এই গাছগুলো একসময় উপজেলার সম্পদে পরিণত হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুবায়েত আরা, কৃষি স¤প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ঈমান আলী মল্লিক, সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপন হালদারসহ শতাধিক কৃষক ও কৃষাণী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ