পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপ লোক দেখানো আইওয়াশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গোটাজাতি তাকিয়ে আছে নির্বাচন কমিশন কী করে। কিন্তু তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) কিছুই করতে পারবে না। যাঁদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন তৈরি হয়েছে তাদের পাশ কাটিয়ে কিছু করার ইচ্ছে বা মনোবল নির্বাচন কমিশনের নেই। দুই মাস যাবত রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ইসির বৈঠক আই ওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়।
গতকাল (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই আলোচনার ফল কী দাঁড়িয়েছে? প্রায় সব রাজনৈতিক দল বলেছে, নির্বাচনের সময় একটা নিরপেক্ষ সরকার চাই, সুশীল সমাজ বলেছে- আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকার চাই, ইলেকশন কমিশনের সাবেক যাদের ডেকেছিল তারা বলেছে- নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। কারণ সরকারের বাইরে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করার শক্তি নেই। এরপরও আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে কি না, যাতে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে। তিনি বলেন, আমরা বলেছি (নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে), আমরা একটা সহায়ক সরকার চাই, সেনা মোতায়েন চাই- এটা আমাদের কথা নয়, এটা জনগণের কথা। তাহলে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে। উনারা প্রথমে বললেন, এটা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। আপনাদের এখতিয়ারের বাইরে হলে আপনারা ডাকলেন কেন? জনগণের কথা শুনতে চান কেন? তাহলে সরকার যা নির্দেশ করে সেই নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে দেন।
নির্বাচন থেকে বিরোধী নেতাদের দূরে রাখতেই সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার কৌশল নিয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে, শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা কেন? কারণ তাদের অন্য কিছু করার উপায় নেই, এই মামলা দিয়ে তাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। আমি বলতে চাই, তাদেরকে আপনারা কোনো কিছু দিয়ে দমাতে পারবেন না। তারা ইতিহাসের অংশ, তারা বাংলাদেশের মানুষের বুকের মধ্যে আছে।
তিনি বলেন, এই সরকার মানুষকে ভয় পায়। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের সবচেয়ে বেশি ভয় তারেক রহমানকে। সেজন্য তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। এই সরকার সম্পূর্ণরূপে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। এ জন্য ক্ষমতায় টিকে থাকতে অপকৌশল নিতে হচ্ছে তাদের। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার মামলা শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় নিম্ন আদালত থেকে খালাস পেলেও হাইকোর্ট থেকে সাজা দিয়েছে। বিএনপির এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা নেই। এম কে আনোয়ার চলে গেলেন শুধু মামলা ও নির্যাতনের কারণে। শেষ পর্যায়ে এসে তাকে এমন মামলা দিলো যে তিনি নিতে পারলেন না।
সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার মুখে উন্নয়নের কথা বলে আর মেগা প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে মেগা চুরি। হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট করবে আর হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেবে। এই যে উড়াল সেতু কিছুদিন পরে দেখবেন তা ভাঙতে শুরু করেছে। রাস্তায় চলাফেরা করা যায় না এতো খারাপ অবস্থা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বাজারে এমন কোনো সবজি নেই, যা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আছে। গ্যাস, পানি বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। জনগণের পকেট খালি করছেন আর নিজেদের পকেট ভরছেন। ইতিহাস বলে মানুষ দীর্ঘদিন এসব সহ্য করবে না। তখন কামান দিয়ে কিছু হবে না।
সময় থাকতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ বের করতে সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের স্বার্থে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের রাস্তা বের করুন, যাতে সকলের নিকট একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায় এবং এতে মানুষ ভোট দিতে পারে।
সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাইতো ক্ষমতায় টিকে থাকতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে চায়। কিন্তু এই দেশের ইতিহাস আছে, যাদের ওপর ভর করে ক্ষমতা চালাচ্ছেন, জনগণ জেগে উঠলে, সময় এলে এরাও পাশে থাকবে না।
বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।