বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সন্নিকটে,নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে ইটভাটার চিমনীর দেয়াল ধ্বসে ইটের নিচে চাপা পড়ে কামরুজ্জামান সাকিম (২৬) নামের এক ভাটার শ্রমিক নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় ঐ ভাটার আরো ২জন শ্রমিক আহত হয়েছে ।
নিহত ভাটার শ্রমিক কামরুজ্জামান সাকিম, নবাবগঞ্জ উপজেলার হরনাথপুর নয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাখায়াৎ আলীর ছেলে। আহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার হরনাথপুর গ্রামের, মোস্তফা আলীর ছেলে আব্দুল বারী(৩২) ও একই উপজেলার খৈষলামপুর গ্রামের অবিনাশ চন্দ্রের ছেলে মিন্টু চন্দ্র(২৪)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায়,নবাবগঞ্জ উপজেলার হরনাথপুর নয়াপাড়া আরটিবি ইট ভাটায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে টলিতে ইট তোলার সময় চিমনীঘেরা ফাটা দেয়ালটি হঠাৎ ধ্বসে পড়ে। এই ঘটনায় ওই দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে কর্মরত ৩ শ্রমিক। এ সময় আশপাশের অন্যান্য শ্রমিকেরা তাদেরকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে, ফুলবাড়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মামুনুর রশীদ আহত ভাটার শ্রমিক কামরুজ্জামান সাকিমকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। অপর ২ আহত শ্রমিক মিন্টু চন্দ্র ও আব্দুল বারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহত ভাটার শ্রমিক কামরুজ্জামান এর বাড়ী হরনাথপুর নয়াপাড়ায় গিয়ে দেখা যায় কামরুজ্জামান ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার আয়েই চলত তার স্ত্রী,বিধবা মা কারিনা বেওয়া, ছোট ভাই জাহিদ হাসান ও ছোট বোন সাবিনা। কিন্তু তার এই অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারের সদস্যরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে কামরুজ্জামান এর মৃত্যুতে আর্তনাদে পাগল প্রায় হয়ে গেছেন তার বিধবা মা কারিনা বেওয়া ও কামরুজ্জামানের স্ত্রী শামিমা বেগম। এই ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরটিবি ইট ভাটায় সরজমিনে দেখা যায়, চিমনীটির চারিদিকে ঘেরা দেয়ালটি ঝুঁকিপূর্ণ, ফাটা ও ভঙ্গুর। ইট ভাটার শ্রমিক অলিল উদ্দিনের ছেলে বাবু মিঞা, জাবেদ আলীর ছেলে জমশেদ আলী সহ ওই ভাটায় কর্মরত একাধিক শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন, ভাটার ইট পোড়ানো চিমনী ঘেরা দেয়ালটি দীর্ঘদিন থেকে ভঙ্গুর অবস্থায় থাকলেও ইট ভাটার মালিক তা মেরামত করেনা। ভাটার মালিকের অবহেলার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মিজানুর রহমান বলেন, লোকমুখে খবর পেয়েই আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আফতাব গঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র কিংবা নবাবগঞ্জ থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তিনি ঘটনা পরিদর্শন করেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে আরটিবি ভাটার মালিক মোশফিকুর রহমান মিন্টু মিঞার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমার প্রয়োজনেই আমি এটি মেরামত করব। দুর্ঘটনা ঘটার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। ভাটায় দুর্ঘটনা ঘটলেও কেন পুলিশকে অবহিত করা হয়নি মর্মে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদউত্তর দিতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।