পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ফুটপাত দখল, নকশা বহিভর্‚ত ভবন ও বেইজমেন্টে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়ে উচ্ছেদাভিযান শুরু করেছেন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় হাজারো উৎসক জনতা মেয়র সাক্কুর ভূয়শী প্রশংসা করে কুমিল্লাকে যানজটমুক্ত ক্লিন সিটিতে পরিণত করার আহŸান জানান।
কুমিল্লা নগরী চকবাজার, গোয়ালপট্টি, কাপড়িয়াপট্টি, ছাতিপট্টি, রাজগঞ্জ, পোষ্ট অফিস, সার্কিট হাউজ, ফৌজদারী মোড়, জেলা পরিষদ, পুলিশ লাইন, ঝাউতলা, বাদুরতলা, রেইসকোর্স ও শাসনগাছা এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাত রয়েছে। তারমধ্যে চকবাজার থেকে রাজগঞ্জ পর্যন্ত ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে। আর জনবহুল এলাকা কান্দিরপাড়, টমসমব্রীজে রাস্তার পাশে ফল দোকানসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় মানুষের চলাচলে যেমন বিঘœ ঘটছে তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। গতকাল বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় শুরু হওয়া প্রথমপর্বের এ অভিযানে নগরীর পুলিশ লাইন, ঝাউতলা, বাদুরতলা, কান্দিরপাড়, রামঘাট, টমসমব্রীজ এলাকায় হকারদের দখলে রাখা ফুটপাত মুক্ত করা হয়। এছাড়াও রাস্তার পাশে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তোলে বিভিন্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। ভেঙ্গে ফেলা হয় বিভিন্ন ভবনের রাস্তামুখি বর্ধিত অংশ, ঝুলানো সাইনবোর্ড ও সিড়ি। জানা যায়, এ অভিযান পর পর আরও দুইবার পরিচালিত হবে। গতকালের অভিযানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার বড়–য়া, সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হকসহ সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অভিযানে চলাকালে মেয়র সাক্কু প্রকাশ্যে বলেন, কোন অবস্থাতেই মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ফুটপাত দখল করা যাবে না। কেবল তাই নয়, যারা বিল্ডিংকোড অমান্য করে উপরে এবং পাশে ভবন বর্ধিত করেছেন তাদেরকে আগামী রোববারের মধ্যে অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলতে হবে। আর বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের বেইজমেন্টের পার্কিংস্থলে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন বা ভাড়া দিয়েছেন তাদেরকেও বেইজমেন্টে গাড়ী পাকিংয়ের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এসব বিষয়ে ইতিপূর্বে নোটিশ দেয়ার পরও কেউ গুরুত্ব দেননি। এতোদিন চুপ ছিলাম। যানজট ও দুর্ভোগমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে এখন আর চুপ নয়, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবারে কোন অজুহাত বা প্রভাব কাজে আসবে না। কোন রকমের সুপারিশ, অনুরোধ মানা হবে না। সিটি করপোরেশনের একাজে আমি একা নই। আমার সাথে সদরের এমপি সাহেব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ নাগরিক সমাজের সচেতনরা রয়েছেন।
মেয়র সাক্কু আরও বলেন, আমাদেরকে দুর্বল মনে করে বহুতল ভবন মালিকদের মধ্যে অন্তত ১৯/২০ রয়েছেন যারা ভবন নির্মাণের নীতিমালা লংঘন করে নীচতলায় কারপার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে অন্য প্রতিষ্ঠান ভাড়া দিয়েছেন। আবার অনেকে অনুমতি নিয়েছেন ৫/৬ তলার। কিন্তু নির্মান করেছেন ৮/৯ তলা। এরকম ভবন মালিকদেরকে আগামী রোববারের মধ্যে ভবনের উপরের এবং পাশের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করতে হবে। নতুবা কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে প্রয়োজনে ভবন সিলগালা করে দেয়া হবে। তিনি ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ারসহ বেশকটি বহুতল ভবনের অনুমোদনহীন উপরের অংশ ভেঙ্গে ফেলার জন্য মালিকদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ফুটপাতগুলোকে মানুষের হাঁটাচলার উপযোগী করে সিরামিক টাইলস দিয়ে নান্দনিক করে তোলা হয়েছে। কিন্তু হকাররা এগুলো দখলে ব্যবসা করছে। মানুষের চলতে ফিরতে সমস্যা হচ্ছে। একদিকে হকারদের দখল অন্যদিকে রাস্তার পাশের দোকানদাররা ফুটপাত পর্যন্ত ব্যবসার বহর বাড়িয়ে ও সাইনবোর্ড টানিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করছেন। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফুটপাত হকারমুক্ত রাখার অভিযান শুরু হয়েছে। এটি অভিযানের প্রথমধাপ। দ্বিতীয় ধাপে অবৈধ যান উচ্ছেদ এবং তৃতীয়ধাপে সিটি করপোরেশনের তালিকা করা প্রায় ১৯টি নকশা বহির্ভূত ভবনের অনুমোদনহীন বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলার অভিযান শুরু হবে। মেয়র সাক্কু ঝুঁকিমুক্ত ও নান্দনিক কুমিল্লা গড়তে নগরবাসীর সহযোগিতা চান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।