Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আমরা সুশাসন চাই তবে এর বাস্তবায়ন চাই না’ - এফআরসি চেয়ারম্যান

| প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান সি.কিউ.কে মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, আমরা সুশাসন চাই তবে এর বাস্তবায়ন চাই না। আবার দেশে অনেক আইন থাকলেও এর বাস্তবায়ন নেই। কারণ যেকোনো আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হওয়াটা কঠিন। যেহেতু আইন পরিপালনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। গতকাল সোমবার ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট-২০১৫ সংক্রান্ত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সি.কিউ.কে মোস্তাক আহমেদ বলেন, এখানে অনেকগুলো রেগুলেটর রয়েছে যাদের মাঝে আইন বাস্তবায়নে কিছু না কিছু ফাঁক রয়েছে। এফআরসি সমন্বয়ের মাধ্যমে ওই ফাঁকগুলো দূর করে দেবে। এফআরসি যদি আইন বাস্তবায়ন না করতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। সবাইকে একটি আইনের মধ্যে থাকা উচিত। কারণ আইন মানলে জীবনটা স্বস্তিদায়ক হয়ে ওঠে। আর এগুলো করতে হলে আমাদের আচার-আচরণে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যদি কেউ এক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আরেক ব্যাংকে ঋণ পরিশোধ করেন- তাহলে ঋণ খেলাপি থেকে মুক্তি মিলবে না।
তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। কারণ আমাদের দায়িত্ব শুধু তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অডিটরদের পর্যবেক্ষণ নয়, যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্তির বাইরে তাদের করপোরেট বিষয়গুলো দেখাশোনা আমরাই করব।
আইসিএমএবির সভাপতি জামাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এফআরসিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। কারণ এ কাউন্সিলের কাজের ওপর ফাইন্যান্সিয়াল খাতের আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা নির্ভর করছে।
সেমিনারে আইসিএবির সভাপতি আদিব হোসেন খান বলেন, আমাদের দেশের অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড পরিপালন করাটা একটু কঠিন। কারণ আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড পরিপালন হয় এখানে। তবে রেগুলেটরদের ক্ষেত্রে আইন পরিপালনে ফাঁক থাকলে এফআরসি পদক্ষেপ নেবে। সেখানে সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ে প্রবৃদ্ধি, স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগে এফআরসি নতুন যুগের সৃষ্টি করবে। তাদের এ খাতের শৃঙ্খলা, বিনিয়োগকারীর আত্মবিশ্বাস ও মূল্য বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের এক কর্মকর্তা বরখাস্ত!
স্টাফ রিপোর্টার : আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি। গতকাল সোমবার আমিরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা যায় হয়। আমিরুল দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, শুধু সাময়িক বরখাস্ত নয়। স্বাভাবিক নাগারিক দুর্নীতির দায়ে যেভাবে আইনের মুখোমুখি হয়ে থাকে- এক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হবে না।
দুদক সূত্র জানায়, আমিরুল ইসলাম তাঁর সম্পদ বিবরণীতে দেখিয়েছেন, তাঁর ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ নেই। পরে দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, আমিরুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীর নামে গাজীপুরের চান্দনা মৌজায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ জমি, টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ১ একর ১৩ শতাংশ জমি ও গাজীপুরে আরও ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জমি কিনেছেন। গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে পাওয়া এসব জমির মোট দাম ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। দুদকের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে জমি কেনার অর্থের উৎস দেখাতে পারেননি আমিরুল। এ কারণে অনুসন্ধানের পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (কমিশনার) ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ সই করা অফিস আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আদেশে সূত্রে জানা যায়, দুদকের ওই কর্মকর্তা তার আয়কর বিবরণীতে কোনো ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ শুন্য দেখিয়েছেন। অথচ সোনালী ব্যাংকের সেগুনবাগিচা শাখায় ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৪৫ টাকা পাওয়া যায়, যা আয়কর নথিতে গোপন রেখেছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ