Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহিউদ্দিন চৌধুরীর একক উদ্যোগে সভা আহ্বান গঠনতন্ত্র পরিপন্থী -আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর একক উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভা আহ্বান সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) নিয়ে যেসব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে সেসব বক্তব্য কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি দাবি করেন। গত রোববার এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন মহলের সভা-সমাবেশ, নগর আওয়ামী লীগ সভাপতির উদ্যোগে সভা আহবান ও বৈঠক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমি মেয়র হলেও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক সভা আহ্বান করেন কিন্তু বিগত ২০ অক্টোবর, শুক্রবার ও এর পূর্বে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবনে কয়েকটি সভা আহ্বান করা হয়েছে, যা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার সাথে কোন ধরনের আলাপ বা কথা বলা হয়নি। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বলে আমি মনে করি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দলের সভাপতির সাথে আলোচনা ও পরামর্শক্রমে নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা ডাকা ও দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা আমার দায়িত্ব। তিনি বলেন, সভায় পৌরকর নিয়ে দল ও সরকারকে বিব্রত করা হচ্ছে মর্মে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, তা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরি কমিটির অনেককে অবহিত না করে সভায় যেসব আলোচনা করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিমূলক ও সঠিক নয়। হোল্ডিং ট্যাক্স সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমি বিভিন্ন সংবাদ ও সভার মাধ্যমে মেয়র হিসাবে আমার অবস্থান তুলে ধরেছি। এ বিষয়ে সাবেক মেয়র নিশ্চয়ই অবহিত আছেন। বিবৃতিতে মেয়র নাছির বলেন, মেয়র সরকারের অংশ ও প্রতিষ্ঠান। যিনি মেয়র তাকে আইনী কাঠামোর মধ্যে চলতে হয় এবং তার মাধ্যমেই উন্নয়ন ও জনসেবা পরিচালনা করতে হয়। পৌরকর নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে অথচ আজ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাইনি। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মেয়রের দায়িত্ব পালনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সকল ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তির উর্ধ্বে উঠে আমাকে সহযোগিতা করবেন এটা আমার প্রত্যাশা। তবে কার্যকরী কমিটির সভা করে এসব কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে সংগঠন গতিশীল হতো, নেতৃত্বের ভাবমর্যাদা বিকশিত হত বলে আমি মনে করি।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সুদীর্ঘ ১৭ বছর মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতার আলোকে কোন পরামর্শ থাকলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে তা আমার সাথে আলোচনা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আইনি কাঠামোর মধ্যে অবশ্যই আমি পরিকল্পিত নগরায়নে ও জনস্বার্থে তার পরামর্শকে প্রাধান্য দেবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ