পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল রোববার ৭৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করেন রায় প্রদানকারী বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ৫ জুন ঐশী রহমানের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশদেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পরে ঐশীর আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহিরও বলেছিলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পরে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রঞ্চের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
২০১৪ সালে গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশী রহমান এবং তার দুই বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও আসাদুজ্জামান জনিসহ ৪ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ড দেয়া হয়।