Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে খুনী স্বামীর ফাঁসি, অপর হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

| প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর ফাঁসি এবং অপর একটি হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদÐ হয়েছে। গতকাল (রোববার) পৃথক দু’টি আদালতে আলোচিত দু’টি হত্যা মামলার এ রায় ঘোষণা করা হয়। স্ত্রী সাফিয়া বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মো. ইলিয়াছকে মৃত্যুদÐের আদেশ দেন চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম। দÐিত ইলিয়াছ জেলহাজতে আছেন। তার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের কেচিয়া গ্রামে। 

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পিপি সমীর দাশগুপ্ত বলেন, ইলিয়াছের সঙ্গে তার আপন চাচাতো বোন সাফিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু গায়ের রঙ কালো হওয়ায় তাকে বিয়েতে অমত ছিল ইলিয়াছের। পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে ঘটনার চার মাস আগে সে সাফিয়াকে বিয়ে করলেও স্ত্রী হিসেবে মানতে না পেরে তাকে সে খুন করে। এই ঘটনায় সাফিয়ার বাবা মো. রফিক বাদি হয়ে ভুজপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কাছিম আলী নামে একজনকে হত্যার দায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদÐ দেয়া হয়। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি আব্দুল মজিদ আলোচিত এ মামলার রায়ে দুই আসামিকে বেকসুর খালাসও দিয়েছেন। এদের মধ্যে আমজাদ হোসেন নামে একজন আসামি মামলার বিচারচলাকালে মারা যান। দÐিতরা হলেন আবদুল হামিদ, মাহবুবুর রহমান, শফিক আহমদ, আবদুস শুক্কুর, আবদুর রাজ্জাক, নজির আহমেদ ও ফয়েজ আহমদ। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা এসব আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯৯৭ সালের ২ এপ্রিল সাতকানিয়ার মির্জাখীল এলাকায় পূর্ব শত্রæতার জেরে আসামিরা কাছিম আলীকে পিটিয়ে হত্যা করে। কাছিম আলীর স্ত্রী মজলিস খাতুন বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে সাতকানিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ১০ জানুয়ারি পুলিশ ৯ জনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ গঠনের পর আদালত ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ