Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বোয়ালখালীতে ভÐ পীরের আস্তানায় ভাঙচুর

| প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে খিজির ভান্ডার নামের এক নামধারী পীরের অস্তানায় ভাংচুর করেছে স্থানীয় জনতা।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর আশেপাশের মসজিদ থেকে শত শত মুসল্লী মিছিল সহকারে এসে এ হামলা চালায়। তবে হামলার ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে দ্রæত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে যাওয়ায় বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা জনৈক মো. লোকমানের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে আরাকান সড়কের বোয়ালখালী উপজেলার নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে ঝাড়-ফুক, তাবীজ-ব্যপারী, জীন-ভুত তাড়ানো সহ মাইজভান্ডারী ফয়েজ প্রাপ্ত বলে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছে। কিন্তু এলাকাবাসী এ আস্তানায় বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ও অনৈসলামিক কাজ করে আসছে এমন অভিযোগ সহ স¤প্রতি এ দরবার থেকে প্রচারিত এক পোস্টার-হেন্ডবিল ও প্রচার পত্রে আস্তানার প্রতিষ্ঠাতা মো. জসীম উদ্দিনকে ‘ছাহেবে কোরআন, বিশ্বশ্রেষ্ট ইসলামী তাওয়াজ্জুক-তামাদ্দুনিক ফয়েজপ্রাপ্ত ও খাজা খিজির’ ইত্যাদি উপাদি দেয়ায় এলাকার আলেম-ওলামা ও সাধারন মুসল্লীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় নির্বাহী অফিসার, বোয়ালখালী থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসী অভিযোগ দায়েরও করে। কিন্তু তড়িৎগতিতে এব্যাপরে ব্যবস্থা না নেয়ায় শুক্রবার জুমার নামাযের পর কয়েকশত মুসল্লি একত্র হয়ে নাম ধারী খিজির ভান্ডারে হামলা চালায়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ প্রশাসন পীর দাবীদার মো. জসীম উদ্দিনকে থানায় ডেকে নেয়। এ সময় তিনি ৩দিনের মধ্যে বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। সেই সাথে স¤প্রতি প্রচারিত প্রচার প্রত্রে লিখিত সকল বক্তব্য ও উপাধি অজ্ঞতাসারে হয়েছে মর্মে মেনে নিয়ে সর্বসাধারন, সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা ছেয়ে কথিত খিজির ভান্ডার দরবারের প্যাডে স্বহস্তে লিখিত বিবৃতি প্রদান করেন।
কথিত খিজির ভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা চন্দনাইশের অধিবাসী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন স¤প্রতি ঘটে যাওয়া সব ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে বলেন, এটা আমার নিজস্ব বক্তব্য, আমি ভুল করেছি এবং এধরনের ভুল আর হবেনা মর্মেও জানান তিনি। তিনি বাংলা শিক্ষায় শিক্ষিত, কোরআন-হাদীস বা ধর্মীয় কোন প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা নাই মর্মে স্বীকার করে সব ধরণের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ হিমাংশু কুমার দাস বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানা ডেকে আনার পর তিনি ৩ দিনের সময় নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন সময় চেয়ে নেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ