Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে অর্ধশতাধিক গ্রাহকের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি

| প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ল²ীপুর জেলা সংবাদদাতা : রামগঞ্জে অর্ধশতাধিক আবেদিত গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের তালিকাভূক্ত ইলেকট্রিক ওয়ারিংম্যান আঙ্গারপাড়ার মিজানুর রহমান কর্তৃক এ টাকা দাবি করা হয়। অ-সাধু কর্মকর্তাদের ইন্ধনে আবেদিত গ্রাহকদের কাছ থেকে এভাবে প্রকাশ্যে অর্থ দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগের আশ্বাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল বলেই মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। জানাযায়, রামগঞ্জকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার সরকারি ঘোষণার পর উপজেলার বিদ্যুৎবিহীন এলাকাগুলো থেকে অসংখ্য আবেদন করা হয়। এরই সুযোগে রামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের তালিকাভূক্ত ওয়ারিংম্যানগন অফিস কর্মকর্তাদের ম্যানেজকরে যার যার পছন্দমত এলাকা বেছে নেয়। যার আলোকে মিজানুর রহমান বেড়ীবাজারের পূর্বে পশ্চিম কাশিমনগরের একাংশ, বেড়ীবাজার হইতে শ্যামপুর সড়কের পার্শ¦বর্তী শামছুল হক, আবুল খায়ের, বেলাল হোসেন, ফারুক হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মোস্তফা, সেকান্দর, মহিন উদ্দিন, ইউছুফ, রাছেল, স্বপন, আমিনউল্যা এবং সড়কের পাশ্বস্থ পোলের গোড়ায় ৩ টি, শুকার বাড়ীতে ৩ টি, রাজবাড়ীতে ৫ টি, বাসু মুন্সীর ৩ টিসহ ৩৪ জনের কাছে বিদ্যুৎ সংযোজিত মিটার প্রদান বাবদ ২০ হাজার টাকা হারে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। বিদ্যুৎ পাওয়ার আশায় অসহায় এ গ্রাহকগণ ১৫ হাজার টাকা হারে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও মিজান তা মানেনি। তারা জানান, বিদ্যুৎ পেতে হলে মিজানের শর্ত মানতেই হবে। অন্যদিকে মিজান চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেহপুর ও উত্তর হাজীপুর এলাকায় ৪২ জন গ্রাহক থেকে শুধু এলাকায় সড়ক লাইন টেনে দেওয়ার জন্য গড়ে ৫ হাজার করে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দাবি করে। এরপর প্রতিজন গ্রাহকের ঘরে ঘরে সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও নতুনরূপে চুক্তি করতে হবে বলেন তারা। অথচ সড়কে বিদ্যুৎ লাইন টেনে দেওয়ার দায়িত্ব অফিস কর্তৃপক্ষের। সৃষ্ট ঘটনায় ভূক্তভোগী গ্রাহকগণসহ এলাকাব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার ফলেই অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরও এ্যাকশনে যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ অনেকের। এব্যাপারে মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি জানেননা বলে জানিয়েছেন। রামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে শুধু মাত্র মিটার চার্জবাবদ ৮৫০ টাকা নেওয়া হয়। কেউ অন্যায় ভাবে টাকা দাবি করলে অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ