বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বল্প সময়ে কম শ্রমিক ব্যবহারের মাধ্যমে একই সাথে ধান কাটা, মাড়াই, পরিস্কার ও প্যাকেটজাতকরন করতে ব্যবহার করা কম্বাইন হারেভেষ্ট। দেশে জমির আয়তন ছোট হবার কারনে মেশিনের ছোট ভার্সন মিনি কম্বাইন হারভেস্টার জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে সরকারের ভর্তূকি সহায়তা পর্যাপ্ত না থাকায় কিনতে পারছে না কৃষক।
জানা গেছে, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কৃষককে সহায়তা দিতে সরকার বিভিন্ন মেশিনের ৫০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তূকি সহায়তা দিচ্ছে। এজন্য খামার যান্ত্রিকীকরনের মধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি-দ্বিতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্প কাজ করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১২৫ টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে নওগা, দিনাজপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহের কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এসব জেলায় প্রত্যেকটিতে ২৫-৫০ টি মিনি কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিনের চাহিদা তৈরি হয়েছে।
কিন্তু এসব জেলায় ১-৫ টি মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মিনি কম্বাইন হারভেস্টারের নিয়মিত দাম পড়ে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু সরকারের দিক থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তূকি দেওয়া হয়। ফলে মেশিনটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কিনতে পারে। কৃষি শ্রমিক সংকটের কারনে উন্নত প্রযুক্তির এই মেশিনটির দিকে ঝুকছে মাঝারি এবং বড় কৃষকরা। মেশিনটির ব্যবহার বাড়ানো গেলে ফসলের উত্পাদনশীলতা ও কৃষকের খরচ কমানো সম্ভব বিধায় ব্যবহার বাড়ানোর পারমর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের প্রফেসর মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, বর্তমানে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকের অভাব প্রায় ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুন। এমতাবস্থায় কৃষিকে লাভজনক করার একমাত্র পথ কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ। গত কয়েক দশকের ব্যবধানে কৃষিতে বেড়েছে শ্রমিক সংকট তেমনি ধারাবাহিকভাবে কমছে কৃষি জমি। এ অবস্থায় শ্রম ও সময় সাশ্রয়ের জন্য কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে কৃষি যন্ত্রপাতি। তবে কৃষিতে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হলে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে সরকারের ভর্তূকি সহায়তা কার্যকর করার পাশাপাশি পরিমানও বাড়াতে হবে।
ব্যবহারকারী কৃষক পাবনার আনোয়ার হোসেন ও ভোলার হারুণ বলেন, মিনি কম্বাইন হারভেস্টার ব্যাবহারের মাধ্যমে ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে সময় বাচায় ৭০-৮২ শতাংশও ৭৫ শতাংশ কম শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। প্রতি ঘন্টায় দেড় একর জমির ধান কাটা এবং মাড়াই, পরিস্কার, এবং প্যাকেটজাত করন করা সম্ভব। এই মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে ১ ঘন্টায় ৩৩ শতক জমির ধান বা গম কাটা যায়। প্রচলিত মাধ্যমে এক একর জমি কাটতে খরচ হয় প্রায় ৬ হাজার টাকা। সেখানে মেশিন ব্যবহারে মাত্র লাগে ৬ লিটার ডিজেল। এই মেশিন অল্প কাদায় ব্যবহার করা যায়। সেই সাথে এই মেশিন দিয়ে কাটার পর খড় আস্থ থাকে। মেশিনটির মাধ্যমে ধান কাটা হলে ফসল বেশি পাওয়া সম্ভব।
খামার যান্ত্রিকীকরনের মধ্যমে ফসল উত্পাদন বৃদ্ধি প্রকল্প-দ্বিতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. নাজিমউদ্দিন বলেন, দেশের উপজেলা পর্যায়ে ধান ও গম কাটার মেশিন রিপার ও ধান গম কাটা, ঝাড়াই, মাড়াই ও বস্তাবন্দী করার মেশিন হারভেস্টার সহ আরও কিছু মেশিনের উপর সরকারী পর্যায় ভর্তূকি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কেননা চাষাবাদে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার উৎপাদন খরচ কমানো ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পর্যাপ্ত চাহিদা থাকলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।