Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আটকা পড়েছে ৬ হাজার টন চাল

অবিরাম বর্ষণে বন্দরের মূল্যবান মালামাল পানির নিচে

| প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বেনাপোল অফিস : গত দু দিনের অবিরাম বর্ষণে এশিয়ার দীর্ঘতম বেনাপোল স্থলবন্দর’র অধিকাংশ মালামাল পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে খোলা আকাশের নীচে রাখা কোটি কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হতে শুরু করেছে। মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। গতকাল শনিবার সকাল থেকে সব ধরনের মালামাল লোড আনলোড বন্ধ রয়েছে। ফলে বর্তমানে বন্দরে ৬ হাজার টন চাল আটকা পড়েছে।
বন্দরে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থাপনা না থাকায় বন্দরে মালামাল নষ্ট হচ্ছে পানিতে। খোলা আকাশের নীচে অযতœ অবহেলায় রাখা এসব মালামাল পানিতে ডুবে গেছে। অবস্থা এমনই বেগতিক যে, ইতিমধ্যে কোন কোন পণ্যের গুদামে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হচ্ছে। বর্সায় অযতœ অবহেলায় বন্দরের অ্যভস্তরে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার মালামাল খোলা আকাশের নীচে নষ্ট হলেও কর্তৃপক্ষের যেন কোন মাথা ব্যথা নেই। বন্দরের অব্যবস্থাপনার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ আমদানিকারকরা এই বন্দর থেকে মুখ ঘুড়িয়ে নিচ্ছে। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ক্রমেই আমদানি বাণিজ্য কমতে শুরু করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় পানি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে বন্দরের ভেতরে হাটু পরিমান পানি জমে যায়। পণ্য পরিবহনকারী যানবাহনগুলো পানির গর্তে আটকে যাচ্ছে। পণ্যাগারের প্রবেশমুখেও হাঁটু সমান পানি। সেখানটায় পায়ে হেঁটে যাতায়াতেরও কোনো সুযোগ নেই। বন্দরে মাত্র ৪২ টি পণ্যাগার রয়েছে, একটি রফতানি টার্মিনাল ও একটি ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল। বন্দরে পণ্য ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার মেট্রিক টন। অথচ সারাবছরই বন্দরে পণ্য রাখা হচ্ছে ৮০ হাজার মে: টন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান,দেশের সর্ববৃহৎ এই স্থলবন্দর থেকে সরকার বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ এ বন্দরের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। প্রায় একযুগ ধরে এখানে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ