Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টানা বর্ষণে চৌগাছায় ধান শাকসব্জি মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবুল কাশেম চৌগাছা (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা : যশোরের চৌগাছায় একটানা তিন দিনের বৃষ্টিতে ধান, শাকসব্জি ও মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একটানা বৃষ্টির পানি জমে খান-বিলের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার প্রায় ৬’শ হেক্টর সবজির ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়েছে। কৃষকের নয়ন ভরা স্বপ্ন ভেঙে গেছে নিমিশে, নেমে এসেছে হতাশা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ধান শাকসব্জি ও অন্যান্য মৌসুমী ফসলের প্রায় ৬’শ হেক্টর জমিতে পানি বেঁধে তা নষ্ট হয়ে গেছে। সরজমিনে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার হাকিমপুর, পাতিবিলা, জগদিশপুর, নারায়নপুর, স্বরূপদাহ, সুখপুকুরিয়া, ধুলিয়ানী, চৌগাছা, ফুলসারা, সিংহঝুলীসহ পৌর এলাকার ইছাপুর, পাঁচনমনা, তার্ণিবাস, বেড়বাড়িসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পানি জমে ধান, মরিচ, সিম, মুলা, বেগুন, লাউ, শশা, উচ্ছে, পুঁইশাক, লালশাক, বাঁধা কপি, ফুলকপি,ধনিয়াপাতাসহ মাসকলায়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার গুয়াতলী গ্রামের কৃষক আমির হোসেন জানান, ৫ বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করেছিলাম, ক’দিনের টানা বর্ষণে তার সমস্তটায় নষ্ট হয়ে গেছে। সৈয়দপুর গ্রামের কৃষক আবু তৈয়ব জানান, আমি অনেক আশা নিয়ে ১বিঘা জমিতে সিম ও লাউ চাষ করেছিলাম কিন্তু গত কয় দিনের প্রবল বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে তা নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার গরীবপুর গ্রামের কৃষক আলী কদর জানান মরিচ চাষ করে অনেক দায়দেনা হয়ে গেছি ক্ষেত ও নষ্ট হয়ে গেছে, বড় খানপুর গ্রামের কৃষক আমানুর রসুল জানান সরকারি অফিস থেকে নতুন জাতের বীজ নিয়ে ৭১ জাতের ধান চাষ করেছিলাম কিন্তু ধান মাটিতে পড়ে গেছে যা সমস্তটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের কৃষাণী রাশিদা বেগম জানান খোকার বাপের অনিচ্ছা শর্তেও পান্তার মাঠে ২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম যা এ কদিনের বৃষ্টিতে মাটিতে পড়ে গিয়েছে।
পৌর এলাকার ইছাপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের মাঠে শাকসব্জির পাতা কপি, মরিচ, বেগুন, শশা, মুলা, সীম সহ মৌসুমী আবাদ সমস্তটায় পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রইচ উদ্দীনের নিকট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি জানান এখন পর্যন্ত মৌসুমি কিছু সবজি ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ