বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা-যমুনায় নৌপথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠায় শুক্রবার পাটুয়িরা-দৌলতদিয়া নৌপথে সাড়ে ৯ ঘণ্টা ফেরী চলাচল বন্ধ ছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্ধ হওয়া লঞ্চ ও স্পিডবোট এখনও চালু হয়নি। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাতাসের গতি কিছুটা কমে এলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করে। ফেরি বন্ধ থাকায় দুই পারের সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট। এতে আটকে পড়া যাত্রীদরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শনিবার পাটুরিয়া ঘাট থেকে নবগ্রাম পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাটুরিয়া মোড় থেকে আরিচা ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের সাড়ি দেখা যায়। অপরদিকে দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘাট এলাকা থেকে গোয়ালন্দ রেল গেট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়ে পড়ে। শনিবার সন্ধ্যায় দুই ঘাটে সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
বিআইডবিøটিসি’র মেরিন অফিসার আব্দুস ছাত্তার জানান, গত শুক্রবার সকাল থেকেই ঝড়ো বাতাস বইতে থাকে। এসময় নদী উত্তাল হয়ে পড়ে। মধ্যরাতে বাতাসের গতিবেগ আরো বেড়ে যায়। এতে ফেরি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কর্তৃপক্ষ রাত ২টার পর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাতাস একটু কমলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। লঞ্চ চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে।
বিআইডবিøউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার শফিকুুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া প্রান্তে দেড়শ’ যাত্রীবাহী বাসসহ চার শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। রাতে নৈশ কোচ এসে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
বিআইডবিøউটিসির এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, শুধু ঘাট এলাকাতেই শতাধিকবাসসহ ৪ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইয়ামিন উদৌলা জানান, ঢাকা-আরিচা মহামড়কের পাটুরিয়া রাস্তার মোড় থেকে আরিচা মুখি সড়কে ও আরিচা পরিত্যাক্ত ফেরি টার্মিনালে ২ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকিয়ে রাখা হয়েছে। রাতে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে আরিচা-কাজিরহাট রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় আরিচা ঘাট হয়ে পাবনা অঞ্চলের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। আরিচা ও কাজিরহাট ঘাটে অনেক যাত্রীকে রাত্রী যাপন করতে হয়েছে।
লঞ্চ ও স্পিডবোট মালিক কর্তৃপক্ষ জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টায় বন্ধ হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শনিবারও চালু করা সম্ভব হয়নি।পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটেও লঞ্চ চালু হয়নি। জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপের কারণে ঝরো বাতাসে পদ্মা নদীতে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পায়। এতে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার পর থেকে সকল ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে উভয় ঘাটে সকালের দিকে যাত্রীবাহী বাসসহ ১২শ’ যানবাহন আটকে পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘাটে আসা যাত্রীবাহী নৈশ কোচগুলো পরের দিন শনিবার বিকাল ৫টায়ও পার হতে পারেনি। আটকে পড়া এসব বাসের অনেক যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত বাস থেকে নেমে ফেরিতে নদী পার হয়ে অন্য বাসে ওঠে গন্তব্যে পৌঁচাচ্ছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায়, লঞ্চ পারাপারের কোচের যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।