কবি ফররুখ আদর্শের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিস আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, ফররুখ ছিলেন নির্যাতিত মানবতার মুক্তির কবি। এই মুক্তির সন্ধান তিনি পেয়েছিলেন সাম্য ভ্রাতৃত্বের আদর্শ ইসলামের মধ্যে। প্রথম জীবনে কমিউনিজমের আদর্শে বিশ্বাসী এই কবি পরবর্তী কালে ইসলামের মধ্যেই প্রকৃত সাম্য-ভ্রাতৃত্বের সন্ধান পান।
বক্তারা বলেন, সাধারনত কবিদের কথা ও কাজের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু এ ব্যাপারে ফররুখ আহমদ ছিলেন একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব। আদর্শের প্রশ্নে কখনো তিনি আপোষ করেননি।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলা কাব্যের বিভিন্ন শাখায় তার স্বচ্ছন্দ পদচারনা ছিল। গীতি কবিতা, ছড়া, ছাড়াও কাব্যনাট্য, মহাকাব্য, সনেট, ব্যঙ্গ কবিতা, গদ্য কবিতা, শিশুতোষ কবিতায় তিনি অনন্য সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। বাংলার সাহিত্যাকাশে তাঁর লেখনী উজ্জল নক্ষত্রের ন্যায় জ্বলজ্বল করছে।
গত শুক্রবার বিকালে মজলিসের মহানগর কার্যালয়ে বিশিষ্ট লেখক, গবেষক কবি আবদুল মুকীত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি ড. মুহাম্মাদ সিদ্দিক। আলোচনা, আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন রেজাউল করীম, কবি এস আই জনি, নূর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাম্মদ সুজন মাহমুদ ও আবু নাঈম প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ ও দোয়ায় কবির রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর শিশুকল্যাণ পারিষদে কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফররুখ গবেষণা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, জাতীয় জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে রচিত কবি ফররুখের কবিতা ও সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষার এক অনন্য সম্পদ। আদর্শের ওপর আপোষহীনভাবে দাঁড়িয়ে থেকে কবি ফররুখ তাঁর লেখনীর মাধ্যমে স্বজাতিকে জাগাবার জন্য অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছেন। জাতির নেতৃত্বের সঠিক পথের দিশা নির্মিত হয়েছে তাঁর কবিতার পরতে পরতে।
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক এম এ হালিমের সভাপতিত্বে ও মাহবুব মুকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এম এ হান্নান। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও গবেষক ফজলুল হক তুহিন।