বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৭ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ৩ হাজার ৩২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। এই সময়ে অপারেটরটি গত প্রান্তিকের তুলনায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সেপ্টেম্বর শেষে এর গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩৯ লাখ। এর মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহক ৩ কোটি। তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানা যায়, এই সময়ে গ্রামীণফোনের কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা ৭০০ কোটি টাকা, এবং শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ১৬ টাকা। অপারেটরটি থ্রীজি নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিতে ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে এক হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। যা গ্রাহকদের কাছ থেকে ভয়েস কলে কথা বলার সময় এবং ইন্টারনেটের জন্য রিচার্জের সময় কেটে নেয়া হয়।
গ্রামীণফোন সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে আগের প্রান্তিুকের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি হওয়ায় মোট গ্রাহকের ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত আর ভয়াবহ বন্যার কারণে এই প্রান্তিক বেশ কঠিন ছিল। গ্রাহক সংগ্রহসহ বিভিন্ন দিকে টেলিকম শিল্প অব্যাহতভাবে খুবই প্রতিযোগিতামূলক ছিল। তা স্বত্তে¡ও আমরা ডাটা ও ভয়েস খাতে প্রবৃদ্ধি করতে পেরেছি।” তিনি আরো বলেন, এই প্রান্তিকে খুচরা পর্যায়ে সাফল্য ও প্রতিযোগিতামূলক অফারের কারণে প্রায় ৩০ লাখ ডাটা গ্রাহক যুক্ত হয়।
গ্রামীণফোনের নব নিযুক্ত সিএফও কার্ল এরিক বলেন,”গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকেও তার প্রবৃদ্ধির ধারা এবং মুনাফা অব্যাহত রেখেছে।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের রাজস্ব প্রদানকারী গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি, ভয়েস খাতে মূল্য স্থিতিশীলতা এবং চলমান পরিচলন দক্ষতা কর্মসূচী শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূল্য সংযোজনে ভূমিকা রেখেছে।
গ্রামীণফোন বছরের ৩য় প্রান্তিকে উচ্চ ভয়েস ও ডাটা চাহিদা পূরণে ৩জি নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই সময়ে ১৫৪টি ২জি এবং ২৮৪টি ৩জি বেস স্টেশন স্থাপন করা হয় যার ফলে মোট ২জি স্থাপনার সংখ্যা ১২ হাজার ৫১৭ এবং ৩জি স্থাপনার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৪১ এ দাঁড়িয়েছে। এই প্রান্তিকে গ্রামীণফোন কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং লাইসেন্স ফি হিসেবে সরকারী কোষাগারে ১৮ দশমিক ৭ কোটি টাকা প্রদান করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব আয়ের ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ বছরের মোট জমার পরিমান দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।