Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আশাশুনির মহাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা সমস্যা

| প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 


জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে ঃ আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের ১৩৪ নং মহাজনপুর পি আই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নানাবিধ সমস্যা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। ৫১ শতক জমির উপর স্থাপিত বিদ্যালয়ের সামনেই খেলার মাঠ। ১০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ৫ জন শিক্ষক বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। ২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবনকে ৪টি কক্ষ করে বিদ্যালয় চলে। যার একটি অফিস হিসাবে ব্যবহৃত। বাকী ৩টি কক্ষে ক্লাস পরিচালনা করা হয়। শিশু শ্রেণির জন্য পৃথক কোন কক্ষ নেই। খেলার মাঠ থাকলেও বছরের বেশীর ভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। খেলাধুলা করা সম্ভব হয়না। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও টিফিন বা অবসর সময়ে বিনোদন ও বিশ্রাম নিতে পারেনা। স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় বেশ সুনাম রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টে এই স্কুল ২০১২ ও ২০১৩ সালে দু’-দু’বার জেলা রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। স্কুলের কোন সীমানা প্রাচীর ও গেট না থাকায় খোলামেলা পরিবেশে স্কুল চলছে। ফলে নিরাপত্তার অভাবসহ খোলামেলা পরিবেশের কারণে ক্লাশ পরিচালনা কষ্টকর হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে যেখানে সরকার শিক্ষাকে ডিজিটালাইজড করার কাজ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সেখানে এই বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই। গরমের সময় হিমশিম এবং আলো স্বল্পতার সময় চোখের উপর চাপ বাড়িয়ে ক্লাশ চালাতে হয়। আসবাব পত্রের রয়েছে অভাব। ফলে শিক্ষার্থীদেরকে ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। একটি মাত্র টয়লেট আছে। ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা টয়লেট ব্যবহার নিয়ে রয়েছেন মহা বিপাকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ হা স ম আবু দাউদ বলেন, এতকিছুর পরও স্কুলের লেখাপড়ার মান মন্দনয়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে যার প্রমান মিলবে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয় থেকে ২৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ২০ জন, ২০১৪ সালে ১৯ জনের মধ্যে ১৮ জন, ২০১৫ সালে ১২ জনে ৮ জন ও ২০১৬ সালে ২০ জনের মধ্যে ২০ জন কৃতকার্য হয়েছে। যার মধ্যে (২০১৬ সালে) এ ৪, এ- ৬ ও বি ১০ জন। শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটিসহ এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন যে, অবিলম্বে স্কুলের নতুন ভবন নির্মান, আসবাবপত্র সরবরাহ, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, সীমানা প্রাচীর নির্মান, ওয়াল বøক টয়লেট, মাঠ ভরাটের কাজ করা হোক। যাতে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক ও শিক্ষার উপযোগি পরিবেশ ফিরে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ