বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : পুরান শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা আমীর। হত্যাসহ ১৮টি মামলার আসামী কালা আমীর আতঙ্কে যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও শ্যামপুর থানা এলাকার অনেক মানুষের ঘুম হারাম। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এখনও এলাকায় আসে ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসী। সে আতঙ্কে অনেকেই আতঙ্কিত। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা দিনেও পথ চলতে ভয় পায়। কারন কালা আমীরের বিরুদ্ধে কয়েকটি ধর্ষণ মামলাও রয়েছে।
দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কালা আমীর নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও শ্যামপুর থানা এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। কালা আমীরের অনেক সহযোগী এখন প্রকাশ্যে এলাকায় বিচরণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কদমতলীতে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালা আমীরের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা, অস্ত্র, ডাকাতি, ধর্ষণ, মারামারি, লুটপাট ও মাদকের মামলা রয়েছে। ২০১৩ সালে কালা আমীর দিনে দুপুরে হত্যা করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহমেদ উল্যাহ ও তার গাড়ি চালক ফারুককে। এর আগে জুরাইনে ব্যাটমিন্টন খেলার কোর্টে খুন করে সাজুকে। সে সময়ে আলোচিত সবগুলো হত্যাকান্ডের সাথে কালা আমীর জড়িত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। জানতে চাইলে সে সময় ডিএমপির শ্যামপুর থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কালা আমীর এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, তার কাছে খুন করা কোনো কঠিন কাজ ছিল না। যুবতী ও তরুণীরা তার ভয়ে তটস্ত থাকতো। কারন তার নজরে পড়লে যে কোনো যুবতীকে উঠিয়ে নিতে দ্বিধা করতো না।
২০১৪ সালে কালা আমীর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল শোনা গেলেও পরে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। সে সময়ই আমীর দেশ থেকে পালিয়ে যায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। মুরাদপুর এলাকার এক ভুক্তভোগি জানান, কালা আমীর দেশেই আছে পার্বত্যচট্টগ্রাম অথবা কক্সবাজারের রামু অঞ্চলে থাকে সে। শ্যামপুরের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী তাকে সেখানে আশ্রয় দিয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন, কালা আমীর ভারতে পালিয়ে আছে। তবে দেশ বা বিদেশ যেখানেই থাকুক না কোনা কালা আমীরের সহযোগী সন্ত্রাসীরা এখনও সক্রিয়। এর মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ীর শফি, হান্নান, বকুল, দনিয়ার বিধান, জামাল ফারুক, ভেলু রিপন, সুজন, মিজান, দোলাইপাড়ের বøাক মাসুদসহ আরও অনেকে। এরা কালা আমীরের হয়ে কাজ করে থাকে। সূত্র জানায়, এক সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্রসফায়ারে নিহত গ্রীল দেলোয়ার, শফিকুর রহমান কচি ও ডাকাত শহীদের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল কালা আমীর। তাদের হয়ে কয়েকটি খুন করার পর সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে ওঠে কালা আমীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।