বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরে ওয়পদা খালের ভাঙন তীর্ব্র আকার ধারণ করেছে। খাল ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে সদর উপজেলার চারটি গ্রামের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অর্ধশত বসতবাড়ি ও গাছপালা। বিলীন হয়েছে ফসলী জমি। ভাটার টানে প্রতিনিয়তই ভাঙনের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। অনেকে একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করে বাড়ি-ঘর তৈরি করলেও আবারো হুমকির মুখে রয়েছে তারা। এতে আতংকে রয়েছে চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী বাজার থেকে পিয়ারপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে ওয়াপদা খালের দুই পাড় ভেঙে ধ্বংসের মুখে পড়ে চাঁদখালি, সৈয়দপুর, তালহাটি ও পিয়ারাপুর গ্রাম। এসব গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ভাঙনের মুখে পড়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অনেকেই তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। তাতেও যেন রক্ষা হয়নি। বারবার খাল ভাঙনের কবলে পড়ছে তারা। অনেকে আবার গৃহহীন হয়ে রাস্তার ধারে কিংবা বাড়ি ভাড়া করে জীবন-যাপন করছেন। স্থানীয়দের ধারণা খালের মাঝখানে পলি জমে পানির ¯্রােতের বিপরীত পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে খাল এ ভয়াবহ ভাঙনের রুপ নেয়। এলাকাবাসী জানায়, ওয়াপদা খাল ভাঙনে ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি ও পূর্ব পুরুষের কবরস্থান হারিয়ে গেছে। যে জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতো আজ সে জমি ভেঙে মানবেতর জীবন যাপন করছে হাজারো মানুষ।
কয়েকবার ঘর-বাড়ি সরিয়েও ভাঙন থেকে নিশ্চিন্ত হতে পারেনি এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। তাই দ্রুত খাল খনন কিংবা তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন থেকে বাঁচাতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মশু পাটোয়ারী বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএমে শাহজাহান কামাল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ভাঙন কবলিতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আশা করি খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট মহল ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিবেন। লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলী বলেন, ওয়াপদা খাল ভাঙন প্রতিরোধ করতে একটি কারিকুলাম বোর্ড গঠন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ভাঙন ঠেকাতে খাল খনন কিংবা তীর রক্ষা বাঁধ তৈরির আশ্বাস দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।