বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন দাবি সুরাহার জন্য আগামীতে জাতীয় সংলাপ দরকার কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, আমরাও তো জাতীয়, আমরা কি বিজাতি? গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের দলের বক্তব্য সংবিধানের বাইরে যাবে না। আমাদের বক্তব্য বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের যেগুলো হয় তার বাইরে যাবে না।
তিনি বলেন, কে নির্বাচনে আসল আর কে আসল না সেই বিবেচনায় আমরা নির্বাচনের পক্ষে। দেশে ভাল নির্বাচন হোক । সেনা মোতায়েনের বিরোধী কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখেন জাতীয় পার্টি সেনা নিয়োগের বিরোধীই বা হবে কেন, পক্ষেই বা হবে কেন? সেও বাংলাদেশের মানুষ আমরা বাংলাদেশের মানুষ। সেনা বলে কোনো ভিন্ন জাতি না গোষ্ঠি নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আপনারা কি কি প্রস্তাব দিয়েছেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- অনেক অনেক মত বিনিময় করেছি। নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা যায়, কতগুলো রাজনৈতিক দল আছে তাদের সবাই সুষ্ঠু নির্বাচন চান। তবে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে সেই সম্পর্কে এদিক সেদিক আছে। আমরা আশা প্রকাশ করে এসেছি এই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এগুলো সুরাহা হবে। সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবনা কমিশনের দিয়েছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মুখে মুখে দিয়েছি। আমরা কোনো বার্গেডিং এজেন্ট নই এবং আমরা মালিকের কাছে আসিনি। আমরা মত বিনিময় করেছি। সেনা মোতায়েন, সহায়ক সরকার, সংসদ ভেঙ্গে দেয়া এমন কথাগুলো আলোচনা হয়েছে। আমাদের তো লিখতে হবে আপনার কি আলোচনা করেছেন? সাংবাদিকদের এ কথার পর মঞ্জু বলেন, বইলেন আমরা চা খেতে এসেছিলাম মাত্র। এ পর্যায়ে সাংবাদিকরা বলেন, আমরা তো কিছু পেলাম না। এরপর দলের মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম রেগে গিয়ে বলেন, আপনি কি থ্রেট করতেছেন নাকি। নিউজ কইরেন না। এরপর সচিব তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি জেপি একটি অর্থবহ অন্তভূক্তিমুলক নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচনে যাতে জনগনের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে তাই চাই। তবে রাজনৈতিক দলের একটি বা দুটি অংশ না নিলে এই নির্বাচন অর্থবহ হবে না তা নয়। তিনি বলেন, আমরা বলেছি প্রয়োজন বলে সেনা মোতায়েন করতে পারে ইসি। এই সিদ্ধান্ত ইসি গ্রহণ করবে। সহায়ক সরকার বা অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে যে কথাবার্তা হয় সেই বিষয়গুলো নিয়ে ইসির কোনো কিছু করার নেই। তাই এগুলো নিয়ে ইসিতে কথা বলনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনা কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠত বৈঠকে জেপির পক্ষ থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি অংশ নেয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরই ধারবাহিকতায় এই বৈঠক হয়। এ পর্যন্ত ৩৯ টি দলের সঙ্গে বৈঠক করল ইসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।