Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিশোধ নিতে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে -মির্জা ফখরুল

সরকার খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাকাতর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে প্রতিশোধ নিতেই সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে সরকারে িহংস্র আচরণ এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গায়ের জোরে ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান অহংকারী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার বিরোধী দলকে দমন করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করতে নজীরবিহীনভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক মামলা দায়ের করে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের অনৈতিক, অমানবিক ও হিংসাত্মক কর্মকান্ডে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে সরকারদলীয় লোকদের দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো প্রশাসন। জনগণ থেকে সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন হয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিরোধী দল ও মতকে দমন-পীড়নের মাধ্যমে নিজেদের একদলীয় শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে বিশ্বের সকল স্বৈরাচারকে ডিঙ্গিয়ে গেছে। নিজেদের দু:শাসনের পরিণতির কথা আওয়ামী লীগ ভুলে গেছে বলেই মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতি তোয়াক্কা না করে তারা বিরোধী দলের রাজনীতিকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করে চলেছে। জোরজবরদস্তির মাধ্যমে অর্জিত ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এখন জনগণের ভয়ে ভীত বলেই সরকার রাষ্ট্রশক্তিকে নির্মমভাবে ব্যবহার শুরু করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার ও দমন-পীড়ন চালিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারই বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি, বরং তাদের পতন হয়েছে মর্মান্তিক। দেশের বর্তমান অপশাসনকে রুখে দিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবিলম্বে ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী গ্রেফতারকৃত বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, মুগদা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল, বাবু, বগুড়া জেলাধীন গাবতলী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্শেদ মিল্টনসহ ৫ জন নেতাকর্মী, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মাসুদ পারভেজ, বিএনপি নেতা ভজন, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আকরাম হোসেন, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জামাল হোসেন, আকরাম হোসেন, টঙ্গী থানা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাহীন মাহমুদ, বদিউজ্জামান বাবু, মেহেদী ভূঁইয়া, মতিউর রহমান, শ্রী আশিষ কুমার মনিদাস, শ্রী চরণমনি দাসসহ দেশব্যাপী অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও ভুয়া মামলা দায়ের এবং নেতাকর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে পুলিশী তল্লাশীর নামে তান্ডব চালানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ