Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন রোধে র‌্যালি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

নদী গিলে খেয়েছে ৯০ ভাগ এলাকা

| প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম ঃ কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮টি মৌজা পর্যায়ক্রমে নদী ভাঙনে বিলিন হওয়ার পরও স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকার লোকজন র‌্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাপুর নৌ-ঘাটে মানববন্ধন রচনা করা হয়। এসময় এলাকাবাসীর সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।
জানা যায়, বৃটিশ আমলে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের নৌ-ঘাটের সাথে ছিল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভারতের সেভেন সিস্টারের ব্যবসায়ীরা এই জলপথেই যোগাযোগ রক্ষা করত। কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে যাত্রাপুরের ঐতিহাসিক নৌবন্দর ও রেলবাজারসহ অর্ধ শতাধিক গ্রাম। গত দুই থেকে তিন বছরে ইউনিয়ন রক্ষা বাঁধের তিন কিলোমিটার জায়গা পর্যায়ক্রমে নদী ভাঙনে বিলিন হয়ে যায়। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রীগণ এলাকা পরিদর্শন করে আশ^াস দিয়েও নেয়া হয়নি কোন স্থায়ী ব্যবস্থা। ফলে চলতি বছরেই দুধকুমর ও ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙনে বিলিন হয়ে যায় দেড় শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলী জমিন। বর্তমানে ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থা নেয়ায় কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে ভাঙন কবলিতরা নদী ভাঙনের হাত থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ পাঠায়। এরপরও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকার সর্বস্তরের জনগণ র‌্যালি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
যাত্রাপুর নদী ভাঙন প্রতিরোধ ও চর উন্নয়ন কমিটির ব্যনারে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার। এসময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কমিটির আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, সাংবাদিক সফি খান, শিক্ষক শ্রী জলধর চন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা সাকোয়াত হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান রহিমুদ্দিন হায়দার রিপন প্রমুখ।
বক্তারা জানান, চলতি বছর দুধকুমর ও ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙনে দেড় হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। যাদেরকে এখনো পূণর্বাসন করা হয় নাই। স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ভাঙতে ভাঙতে ইউনিয়নের ৯টি মৌজার মধ্যে শুধুমাত্র একটি মৌজার একাংশ জেগে আছে। বর্তমান যাত্রাপুর বাজার, কলেজ, হাইস্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ সহ¯্রাধিক বাড়ি ও ফসলী জমিন হুমকীর মূখে রয়েছে। এসব রক্ষা করতে ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি সকলের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ