বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে ধানক্ষেতে মারাত্মক আকারে বিএলবি রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এতে শতশত বিঘা আমন ধানের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। পর্যাপ্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেও এ রোগের আক্রমন থেকে ধান ক্ষেত রক্ষা করা যাচ্ছে না। গ্রামের সহজ সরল কৃষকরা কৃষি অফিসের লোকজনদের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে অনেক কৃষক অভিযোগ করেন। বিএলবি রোগের প্রকোপে আমন ফসল উৎপাদন অনেক কম হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শ্রীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৯’শ পঁচিশ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের ধান রোপন করা হয়েছে। ২৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিট জাত ও ৬’শ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে স্থানীয় অন্যান্য জাতের ধান।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে ঈদুরের উপদ্রব। মহামারী আকার ধারণ করেছে বিএলবি বা পাতা পোড়া রোগ। সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষেতের মাঝখানে ইদুরের আক্রমন। পটকা গ্রামের কামরুজ্জামান, শ্রীপুর উত্তর পাড়া গ্রামের আবু সাইদ আকন্দ, এনামুল হক আকন্দসহ অনেক কৃষকরা জানিয়েছে ধান ক্ষেতে ঈদুরের আক্রমন ঠেকানো যাচ্ছে না। পানির মধ্যেই ঈদুর ধান গাছের গোরা কেটে ফেলছে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্ষেতের ধান। শ্রীপুর পৌর এলাকার কাইচ্চাগড়ের একটি ক্ষেতেও দেখা গেছে ঈদুরের আক্রমন। মাওনা ইউপি সদস্য মতিউর রহমান জানান, তার প্রায় ৫ বিঘা জমিতে পাতাপোড়া রোগ দেখো দিয়েছে। গোসিংগার ইউপি সদস্য ইসমাইল জানান, তার এলাকায়ও পাতা পোড়া রোগ ধানক্ষেত নষ্ট করে ফেলছে। ভাংনাহাটি গ্রামের ফারুক জানান, তার প্রায় ১০ বিঘা জমির ধানের পাতা পঁচে গেছে। গোসিংগা গ্রামের শাহজাহান মোড়ল শাহীন জানান তার আড়াই বিঘা জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। । এলাকার বহু জমিতেই এ রোগের প্রকোপ দেখা গেছে। এছারা উপজেলার ভাংনাহাটি, উজিলাব, বাউনী, হায়েৎখারচালা, কাওরাইদ, বরমীর বিভিন্ন এলাকাতে ইদুরে আক্রমন আর পাতা পোড়া রোগে ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের অভিযোগ, তারা কালেভদ্রেও কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে দেখেন না। শ্রীপুর বাজারের সার কীটনাষক ব্যবসায়ী কবির হেসেন জানান, প্রতিদিন তার দেকানে যত কৃষক আসেন তার মধ্যে ঈদুরের আক্রমন আর পাতা পোড়া রোগের সমস্যাই বেশি। উপজেলার সর্বত্রই ঈদুরের আক্রমন আর পাতাপোড়া রোগের কারণে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলো কৃষি কর্মকর্তা এ.এস.এম মূয়ীদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যাচ্ছে। ইতি মধ্যেই ইদুর নিধন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তদের নিয়ে নয়টি স্কোয়াট গঠন করে মাঠে রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। বিএলবি (পাতা পোড়া) রোগে ৬০% পাত নষ্ট হয়ে গেলেও ফসলের তেমন ক্ষতি হবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।