Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নরসিংদীতে অকাল বর্ষণে শাকসবজি উৎপাদন ব্যাহতের আশঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : নরসিংদীতে অকাল বর্ষণে শাকসব্জী উৎপাদন ব্যাহতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বুধবার রাতে নরসিংদীতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলায়ই সারারাত ধরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়েছে। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা শহরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১৩.৮ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের এই হার মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে হাইড্রোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত আগস্ট মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত নরসিংদীতে বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১০৫ মিলিমিটার। এই অকাল বৃষ্টিপাতের কারণে নরসিংদী জেলায় শীতকালীন মৌসুমী শাকসব্জী উৎপাদনে ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী জেলা দেশের শাকসব্জী উৎপাদনে একটি প্রধান জেলা। নরসিংদীতে উৎপাদিত শাকসব্জী রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের জেলাগুলোর ৪০ ভাগ চাহিদা পূরন করে। বিশেষ করে ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, লাউ, সীম, মুলা, গোলআলু, মিস্টিআলু, লালশাক, পালং শাক, সরিষারশাক, বাটিশাক, পেয়াজ, রসুন ইত্যাদি শীতকালীন শাকসব্জী নরসিংদীতে প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হয়। প্রতিবছর ভাদ্র মাসে মৌসুমী বৃষ্টিপাত শেষ হলেই এসব শাকসব্জী চাষবাদের জন্য কৃষকরা তৎপর হয়ে উঠে। তারা জমি প্রস্তুত করতে শুরু করে। এর মধ্যে কোন কোন জাতের শাকসব্জী আগাম চাষাবাদ করে কার্তিক মাসের অভাব দূরীভূত করে। কিন্তু এ বছর প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টিপাতের কারণে চাষীদের আগাম চাষাবাদ সম্ভব হয়নি। যার ফলে কার্তিক মাসে বাজারে শাকসব্জীর ব্যাপক সংকট বিরাজ করছে। ১০০, ৮০ ও ৬০ টাকার নিচে কোন সব্জীই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো মৌসুমী লাউ’র দেখা নেই। দেখা নেই দেশী ফুলকপি, বাধা কপি, সীম ও গোলআলু’র। নরসিংদীর সব্জী চাষীরা বার বার ক্ষেত প্রস্তুত করে চারা লাগাচ্ছে। বার বারই অকাল বর্ষণে কৃষকের স্বপ্ন কাঁদায় মিশে যাচ্ছে। সব্জী চাষীরা জানিয়েছে, ভাদ্র মাসের মধ্যভাগে লাউ এবং সীমের চারা রোপন করা হয়। এবছরও তারা লাউ ও সীমের চারা রোপন করেছিল। কিন্তু অকাল বর্ষণে তা কয়েকবার নষ্ট হয়ে গেছে। সরিষা, মুলা, লালশাক ও পালংশাক কয়েকবার ক্ষেতে বোনা হয়েছে। যতবারই বোনা হয়েছে, ততবারই ভারী বৃষ্টিপাত সব মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। আশ্বিনের শেষভাগে কৃষকরা ব্যাপকভাবে শাকসব্জী রোপন করেছিল। কিন্তু গত বুধবারের রাতের ভারী বর্ষণ সবই মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। এক রাতের বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজার হাজার সব্জী চাষী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ