পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে রোপা আমনে টার্গেট ১ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাল
হালকা বাতাসে দুলছে রোপা আমন ধান। সেই সাথে দুলছে কৃষকদের মন। আনন্দের ঢেউ আছড়ে পড়ছে গ্রাম-মাঠে। কৃষককুলের চোখের কোণে এখন খুশীর ঝিলিক। দেখছে সোনালি স্বপ্ন। সারাদেশের মাঠে মাঠে এখন সোনালি ছোপ। সবুজ আর সোনালির সংমিশ্রণে নয়নাভিরাম দৃশ্য। মাঠের চেহারা বলে দিচ্ছে মতো রোপা আমনে বাম্পার ফলন হবে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ গোলাম মারুফ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, চলতি মৌসুমে সারাদেশে রোপা আমন ও বোনা আবাদ হয়েছে মোট ৫৬ লাখ হেক্টর জমিতে। আমরা আশা করছি চাল উৎপাদন হবে ১ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন। মহাপরিচালক ফলন আশানুরূপ। আশাবাদী টার্গেট পুরণ হবে। ধান ও চালের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা সার্বক্ষণিক দৃষ্টি দিয়ে অত্যন্ত যত্ম সহকারে ধান আবাদ ও উৎপাদন করেছে। যাতে কোনরূপ পোকা মাকড়ের উপদ্রব না হয়। ফলন ভালো হয়। তাছাড়া এবার রোপা আমনে কৃষকদের আবাদ খরচও তুলনামূলক কম হয়েছে। বিশেষ করে এই মৌসুমে রোপা আমনের জন্য সেচ দিতে হয়নি। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঠিকই আমনের জন্য পলি পড়ে ফার্টিলাইজারের কাজ হয়েছে। সার্বিক আবাদ মৌসুমে কৃষকদের জন্য ছিল যথেষ্ট সহায়ক। তিনি জানান, সারাদেশের কোন কোন এলাকায় অক্টোবরের শেষের দিকে ধান কাটা শুরু হবে। ইনশা আল্লাহ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পুরাদমে শুরু হবে ধান কাটা।
মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা জানান, মাঠের চেহারা বলে দিচ্ছে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকরা আশাবাদী এবার রোপার আমনে তারা ভালো লাভবান হবেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানায়, সারাদেশে রোপা আমনের গড়পড়তা সমস্যা খুব একটা হয়নি। তবে কিছু এলাকায় ধানে পোকা মাকড়ের উপদ্রব হয়। তবে খুব বেশী ক্ষতি করতে পারেনি। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কম আবাদ হলেও এবার আউশের ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টিনির্ভর আউশ আবাদে খরচ পড়ে একেবারেই কম। দামও কৃষকরা পেয়েছে খুব ভালো। কারণ আউশ উঠার পুরা মৌসুমে ধান ও চালের দাম ছিল বেশ চড়া। আবার রোপা আমনেও আবাদ খরচ কম হয়েছে। তাই আর্থিকভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান, এখন থেকেই মাঠে গিয়ে ফড়িয়া ও আড়তদাররা ধান কাটার পর যাতে তাদের কাছে বিক্রি করা হয় এমন প্রস্তা দিতে শুরু করেছে। কয়েকজন রোপা আমন চাষী দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, কৃষকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে সুদখোর, দাদন ব্যবসায়ী, ফড়িয়া ও আড়তদাররা যাতে কোনরূপ ফাঁদে ফেলতে না পারে তার ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। মাঠপর্যায়ের কৃষি স¤প্রসারণ, কৃষি বিপনন ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, এখনই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ মাঠে নেমে এসব ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের এক কৃষক। নাম তার মোঃ আলম। ধানের আবাদ ও উৎপাদনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি খুবই ভালো বলে ক্ষোভের সাথে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক কৃষিসহ সবকিছু নিয়ে লেখালেখি করেন। কৃষিপণ্যের বাজার নিয়ে বেশি বেশি লেখালেখি করেন না কেন। শুধু ধান কেন সব কৃষিপণ্যের কৃষকরা পাচ্ছে কি পাচ্ছে না তার খোঁজ রাখা উচিত। এবার পাটের দাম পায়নি চাষিরা। পাটের উৎপাদন ভালো হয়ে লাভ হলো না তো চাষিদের। তিনি বললেন, কৃষকরা উপযুক্ত মূল্য পেলে স্বাচ্ছন্দ্যে চাষাবাদ করতে পারে। কৃষকদের সবসময় এক ফসলের মূল্য দিয়ে পরবর্তী আবাদ করতে হয়। কৃষি নিয়ে বহু সেক্টর আছে কিন্তু কৃষকরা কৃষিপণ্যের দাম পেলো কি পেলো না তার দেখার মাঠপর্যায়ে ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।